ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সিনহা হত্যা: ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দেয়ার আশাবাদ

কক্সবাজার প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২০:১৯, ১৬ আগস্ট ২০২০

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান

ব্রিফিংয়ে অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান

মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের খুনের ঘটনায় আগামী ২৩ আগস্ট প্রতিবেদন জমা দিবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক গঠিত তদন্ত কমিটি। রোববার (১৬ আগস্ট) বিকাল ৫টার দিকে তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রাম বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মিজানুর রহমান গণশুনানী শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে একথা বলেন।

সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে উল্লেখ করে মিজানুর রহমান আরও বলেন, ‘আজ তদন্তের স্বার্থে গণশুনানী করেছি। এতে ১১ জন সাক্ষ্য দিতে নাম নিবন্ধন করলেও আমরা ৯ জনের কাছ থেকে সাক্ষ্য নিয়েছি। অন্য ২ জনকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী মনে হয়নি।’

মিজানুর রহমান জানান, মামলার তদন্তের স্বার্থে যেখানে যাওয়ার প্রয়োজন আমরা সব জায়গায় গিয়েছি। এতে সরকারি-বেসরকারি ৬০ জনের জবানবন্দি নেয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে যাতে এ ধরণের ঘটনা পুনরাবৃত্তি না ঘটে, সেই বিষয়টি প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হবে।’

এর আগে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফের শামলাপুর রোহিঙ্গা ক্যাম্প ইনচার্জের কার্যালয়ে তদন্ত কমিটি এই গণশুনানি শুরু করে। ওই শুনানিতে সাক্ষ্য দিতে ১১ জনের নাম নিবন্ধন করা হয়। নিবন্ধনকৃত এসব সাক্ষীদের মধ্য থেকে ৯ জনের সাক্ষ্য নেয় তদন্ত কমিটি।

এর আগে গত ১২ আগস্ট তদন্ত কমিটির সদস্য কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহা. শাহজাহান আলী একটি গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেন। এতে, ৩১ জুলাই আনুমানিক রাত ১০টার দিকে মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তে জন্য গণশুনানির আয়োজনের ঘোষণা দেয়া হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৩ জুলাই সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাহসিন রিফাত নুর কক্সবাজার আসেন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় একটি রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন মেজর (অব.) সিনহা। 

এ সময় পুলিশ সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায়। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকে আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত। উক্ত ঘটনায় ওসি প্রদীপসহ পুলিশ কর্মকর্তা, সদস্য ও পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষী কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪ পুলিশ সদস্য ও ৩ সাক্ষীকে রিমান্ড শুনানি করছে তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাব।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি