ঢাকা, বুধবার   ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪

হিলি স্থলবন্দর পরিদর্শন করলেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধিদল

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ২১:১৭, ১৯ আগস্ট ২০২০

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশনা অনুযায়ি স্বাস্থ্যবিধি মেনে দিনাজপুরের হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ও স্থল বন্দর দিয়ে দু'দেশের মাঝে পণ্য আমদানি রফতানিসহ যাত্রি পারাপার কার্যক্রম পরিচালনা করতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা যাচাই করতে হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্ট ও স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছেন স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয় ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার একটি প্রতিনিধি দল। 

বুধবার দুপুর ২টায় স্বাস্থ্যমন্ত্রনালয়ের রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক শাহনীলা ফেরদৌসির নেতৃত্বে ৬ সদস্যের প্রতিনিধি দলটি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টে আসেন। এসময় তাদেরকে উপজেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য বিভাগ তাদের শুভেচ্ছা জানান। 
এসময় তার সাথে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঢাকা অফিসের এমপিও ডা.হাসান মহিউদ্দিন, আইএইচআর এর ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ডা. আবু নাঈম মোহাম্মদ সোহেল, রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সহকারি পরিচালক ডা.তাহমিনা আকতার, সিডিসি ডা.মুস্তফা মাহমুদ,সিনিয়র এডভাইজার ডা.নাসির আহমেদ খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে তিনি হিলি ইমিগ্রেশন চেকপোষ্টের অবকাঠামো, স্বাস্থ্য বিষয়ক ব্যবস্থা পরিদর্শন ও কর্মকর্তাদের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলেন। এর পরে তিনি হিলি সীমান্তের চেকপোষ্ট গেটের শুন্যরেখা পরিদর্শন করেন এবং বন্দরের আমদানি রফতানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক প্রবেশ ও যাত্রি পারাপার কার্যক্রম দেখেন। এসময় সীমান্তের শুন্যরেখায় তিনি ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলেন। এর পরে তিনি হিলি স্থলবন্দরে যান, সেখানে বন্দরের কার্যক্রম পরিদর্শন পুর্বক বন্দর, কাস্টমস, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসনের সাথে করোনা ভাইরাস চলাকালীন সময়ে স্বাস্থ্য স্কিনিং ও রোগ নজরদাড়ি বিষয়ক এক বৈঠকে মিলিত হোন। বিকেল পৌনে ৬টায় বৈঠক শেষে তিনি হিলি স্থলবন্দর এলাকা ত্যাগ করেন।

এসময় সেখানে হাকিমপুর উপজেলা চেয়ারম্যান হারুন উর রশীদ, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুর রাফিউল আলম, ভাইস চেয়ারম্যান শাহিনুর রেজা শাহীন, পৌরমেয়র জামিল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. তৌহিদ আল হাসান, ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেনসহ অনেকে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের রোগনিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক শাহনীলা ফেরদৌসি বলেন, দেশের নৌ, স্থল ও বিমান বন্দরগুলোকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্দেশীত স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার বিধান রয়েছে। এই করোনাভাইরাস প্রথমে চীনের উহানে উৎপত্তি হলেও পরে তা আমাদের দেশে এসেছে। একইভাবে বিশ্বের ২১০টির উপরে দেশ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। কাজেই এই বন্দরগুলির স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সক্ষমতা বাড়াতে হবে যেন বাহিরে থেকে যারা দেশে আসবে তাদের স্বাস্থ্য চেকআপ ও সন্দেহজনক যারা তাদেরকে শুরুতেই আলাদা করতে পারি যাতে করে এই এলাকাসহ দেশের মানুষের ভিতরে আরো বেশি সংক্রামিত না হতে পারে। 

আমাদের এখানে মেডিকেল সেন্টার রয়েছে এটির মাধ্যমে যতটুকু সম্ভব তারা কিন্তু এই কাজটি করছেন। এখন যেহেতু মানুষের চলাচল বন্ধ রয়েছে,শুধুমাত্র আমদানি রফতানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাকগুলো যাওয়া আসা করছে যেগুলো উনারা দেখছেন। মানুষের যাতায়াত শুরু হবে তখন এটিকে আরও কার্যকর করতে হবে। আর এই কার্যকর কিভাবে করা যায় সেটি দেখার জন্য স্বশরীরে এখানে আসা। আমিসহ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিনিধি দল সরেজমিন পরিদর্শন করলাম এখানে জায়গার সমস্যা নেই। ঢাকায় গিয়ে আমরা অবশ্যই তাদের সাথে বসবো। উনাদের তরফ থেকে হয়তো আরো একটি পরিদর্শন তারা করতে পারেন এর পরেই কাজ শুরু হবে। এছাড়া স্কানারের সংকট রয়েছে এটি আসলে হিলিকেও এর আওতায় আনা হবে। একইভাবে গতমাসে আমরা বেনাপোল স্থলবন্দর পরিদর্শন করেছি এর পরে সেখানে যাত্রি পারাপার শুরু হয়েছে।  
কেআই//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি