‘বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই ২১ আগষ্টের বোমা হামলা’
প্রকাশিত : ১৯:৪৪, ২১ আগস্ট ২০২০
যোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী (আইসিটি) জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার পর জননেত্রী শেখ হাসিনা হত্যা সহ বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল।
প্রতিমন্ত্রী জোর দিয়ে বলেন, বলা হয় আওয়ামীলীগকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই এই গ্রেনেড হামলা। কিন্তু আসলে তা নয়। সে সময়ের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী বাবর ও তারেক রহমান সহ জামায়াত -বিএনপি ষড়যন্ত্রে সেদিন বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতেই এই গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। কিন্তু এখনও ষড়যন্ত্র থেমে নেই। ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট যে হত্যাকান্ড এবং ২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলাকারীরা একই সুত্রে গাঁথা।
খুনিরা ভেবেছিল স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে যদি হত্যা করা হয়,তাহলেই বাংলাদেশে স্বাধীনতার চেতনা,মুক্তিযুদ্ধের চেতনা এবং উন্নত সোনার বাংলা গড়ার তার স্বপ্নটিও হত্যা করা সম্ভব হবে। কিন্তু সেই দিন মহান আল্লাহপাকের আশেষ রহমতে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ও শ্রদ্ধে শেখ রেহেনা দেশের বাহিরে থাকার কারনে বেঁচে গিয়েছিলেন। আজকে তাই বঙ্গবন্ধুর সেই সোনার বাংলার আধুনিক রুপ জননেত্রী শেখ হাসিনার ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ৭৫ এর বঙ্গবন্ধু খুনিরা আগেই বুঝতে পেরে জননেত্রী শেখ হাসিনা যাতে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে না পারে সেজন্য ২০০৪ সালে বোমা হামলা চালিয়ে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব শুন্য করতে চেয়েছিল। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে।
প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক শুক্রবার বিকেলে সিংড়া উপজেলা আওয়ামীলীগ আয়োজিত ২১ আগষ্টের বোমা হামলায় শাহাদতবরনকারীদের উদ্দেশ্যে দোয়া ও আলোচনা সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তৃতাদানকালে এসব কথা বলেন। সিংড়া পৌর সভা কমিউনিটি মাঠে ওহিদুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যান্যের মধ্যে আরো বক্তৃতা করেন জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও নাটোর ৪ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক আব্দুল কুদ্দুস, নাটোর -১ আসনের সাংসদ শহিদুল ইসলাম বকুল, পৌর মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস প্রমুখ।
সভায় প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আওয়ামীলীগের এমন কোন নেতা -কর্মী নেই যাদের শরীরে বিএনপি-জামায়াতের নির্যাতনের চিহ্ন নেই এবং অন্তত এক ডজন মামলাসহ কারাভোগ করেননি।আওয়ামীলীগের সকল নেতা কর্মী সেসব অত্যাচার-নির্যাতন সহ্য করে সততা ও নিঃস্বার্তভাবে আন্দোলন সংগ্রাম করে জননেত্রী শেখ হাসিনার সকল নির্দেশ পালন করেছি। তাই জনগন আমাদের ক্ষমতায় নিয়ে গেছে। তিনি বলেন, ক্ষমতার ১২ বছরে জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে মধ্যময়ের দেশে পরিনত করেছেন। জননেত্রী শেখ হাসিনা দেশকে একটি প্রযুক্তি একটি ডিজিটাল বাংলাদেশে পরিনত করেছেন।
বৈশ্বিক মহামারি করোনাকালীন কয়েক মাসে বাংলাদেশের শিক্ষা,স্বাস্থ্য ও বানিজ্যিক কার্যক্রম,স্বাস্থ্যসেবা প্রতিটি জায়গায় জননেত্রী শেখ হাসিনার সুযোগ্য সন্তান সজিব ওয়াজেদ জয়ের নির্দেশনায় সকল কার্যক্রমে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাদ্য মাধ্যমে আমরা অব্যাহত রাখতে পেরেছি।
আগামী ৪১ সাল নাগাদ বাংলাদেশকে একটি উন্নত জ্ঞানভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ার জন্য আমাদের গড়ে তুলতে হবে প্রগতিশীল সমাজ। যে প্রগতিশীল অসাম্প্রদায়িক সমাজ আগামী দিনে বিশ্বে একটি সমৃদ্ধ উন্নত দেশে পরিনত করবে।
আরকে//
আরও পড়ুন