‘স্যার’ না বলায় ক্ষুব্ধ সিভিল সার্জন!
প্রকাশিত : ২১:০১, ২২ আগস্ট ২০২০
পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম (ইনসেটে) ও তার কার্যালয়।
‘আমি আপনার ভাই হলাম কিভাবে? আমাকে ‘স্যার’ বলেন। ডিসি-এসপি’কে তো ঠিকিই স্যার বলেন, আমাকেও স্যার বলেন? আপনাকে তথ্য দিতে আমি বাধ্য নই। তথ্য দিব সরকারকে।’ -এই বলে মোবাইল ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন পটুয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম।
আজ শনিবার দুপুরে পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনের পর তথ্য জানতে চাইলে একটি জাতীয় দৈনিকের সাংবাদিকের উপর ক্ষুব্ধ হয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নিজ ব্যবহৃত একটি সরকারি গাড়ীতে ক্লিনিক, ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শনে আসেন জেলা সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রশান্ত কুমার সাহার (পিকেসা) সৌজন্যে তার অফিস কক্ষে দুপুরে সারেন কাচ্চি বিরিয়ানি ভোজ। মেন্যুতে আরো ছিল- পটুয়াখালী জেলা সদর থেকে আনা দধি আর মিষ্টিও। বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে পৌর সদরের ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক পরিদর্শন শেষে ফিরে যান তিনি জেলা শহর পটুয়াখালীতে।
বিকালে দৈনিক মানবজমিনের বাউফল প্রতিনিধি তোফাজেল হোসেন সিভিল সার্জনের মোবাইল ফোনে কল দিলে তিনি রিসিভ করেন। এ সময় ওই প্রতিনিধি তাকে ভাই বলে সম্বোধন করে পরিদর্শনের তথ্য জানতে চাইলে সিভিল সার্জন ক্ষুব্ধ হন তার ওপর এবং ওই কথাগুলো বলেন। এমনকি তথ্য না দিয়ে কিছুক্ষণ পরে সিভিল সার্জন ওই প্রতিনিধিকে ফোন করে আরো বলেন, ‘আমাকে স্যার বলেন নি! আমি আপনার বিরুদ্ধে প্রেস ক্লাবে সভাপতির কাছে অভিযোগ দিব।’
উল্লেখ, এর আগেও (১২ আগস্ট) বাউফলের ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনে এসে স্বাস্থ্য ও পরিবাবর পরিকল্পনা কর্মকর্তার সৌজন্যে তিনি মুরগির মাংস, ইলিশ ও গলদা চিংড়িসহ হরেক রকম মাছ ও দধি দিয়ে দুপুরের ভূড়িভোজসহ নানা অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
এনএস/
আরও পড়ুন