ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

বাগেরহাটে পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার

বাগেরহাট প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৪:৫০, ২৪ আগস্ট ২০২০

ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

বাগেরহাটে পাঁচ দিনের অতি বর্ষণ ও জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে নিম্নাঞ্চল। এতে করে পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন জেলার কয়েক হাজার পরিবার। জোয়ারের পানিতে বাজার, ঘাট ও রাস্তা তলিয়ে দুর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। ঘরবাড়িতে পানি উঠে অনেকের রান্নাও বন্ধ রয়েছে। প্রতিদিনই জোয়ারের পানিতে দুইবার ডুবছে জেলা শহরের নিম্ন এলাকা ও মোরেলগঞ্জ পৌরসভা এলাকা।

এছাড়া বিভিন্ন উপজেলার অর্ধ শতাধিক গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ পানিবন্দী রয়েছেন। অনেক এলাকায় প্রবাহমান খাল আটকে চিংড়ি চাষ করার কারণে পানি না নামতে পারায় পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। 

বাগেরহাট সদর উপজেলার চর গ্রাম, মাঝিডাঙ্গা, ভদ্রপাড়া, মোরেলগঞ্জের নিশানবাড়িয়া, বহরবুনিয়া, জিউধরা ইউনিয়নের অধিকাংশ গ্রামগুলো পানিতে তলিয়ে গেছে। শুধু বাগেরহাট সদর ও মোরেলগঞ্জ নয়, অন্যান্য উপজেলায়ও একই অবস্থা বিরাজ করছেন। 

পানিবন্দীরা জানান, গত চার থেকে পাঁচদিন ধরে জোয়ারের পানির চাপে গ্র্রাম রক্ষাবাঁধ ভেঙ্গে পানি এলাকায় ঢুকেছে। ঘরবাড়ি, মাছের ঘের, পুকুর এমনকি গোয়ালঘর ডুবে গেছে। অনেকের ধসে পড়েছে কাঁচা ঘরের মাটি। এখন আমরা মানবেতর জীবন যাপন করছি।

নব্বই বছর বয়সী রাহিলা বেগম বলেন, ‘পানিতে আমাদের ঘর আউলিয়ে গেছে। ঘরের মধ্যে পানি উঠেছে। রান্না করতে পারছে না বউতে। খাওয়া-লওয়াও বন্ধ।’

আলেয়া বেগ, সালমা বেগম, বিলকিস, মরিয়ম, আব্দুস ছালামসহ চরগ্রামের কয়েকজন বলেন, ‘বৃষ্টি ও জোয়ারের পানির চাপে অনেকের কাঁচাঘরের মাটি ধসে পড়েছে। চার-পাঁচ দিনের পানি উঠেছে ঘরের মধ্যে। চুলো ডুবে যাওয়ায় অনেকে রান্না ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে গোসলও করতে পারছিনা আমরা। অনেকেই রান্না না করতে পেরে শুকনো খাবার খেয়ে জীবন বাঁচাচ্ছেন।’

তারা জানান, ‘গবাদি পশু-পাখি নিয়ে মারাত্মক বিপাকে রয়েছি। গোয়াল ও খোপের ঘর ডুবে যাওয়ায় ঘরের মধ্যেও রাখতে হচ্ছে গরু ও হাস-মুরগী। গো-খাদ্যেরও সংকট তৈরি হয়েছে।’

এই অবস্থায় যত দ্রুত সম্ভব পানি অপসারণের দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা। 

এআই/এমবি


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি