কক্সবাজারে নির্যাতনের শিকার সেই মা-মেয়ের জামিন
প্রকাশিত : ১৬:২০, ২৪ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৬:২২, ২৪ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজারের চকরিয়ার হারবাংয়ে গরু চোর সন্দেহে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের পর কারাগারে থাকা মা-মেয়ের জামিন মিলেছে।
সোমবার দুপুরে চকরিয়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত মা-মেয়েসহ ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করেন।
জামিন প্রাপ্তরা হলেন- চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার শান্তির হাট কুসুমপুরের মৃত আবুল কালামের স্ত্রী পারভিন আক্তার (৪০), আবুল কালামের দুই মেয়ে যথাক্রমে সেলিনা আক্তার সেলী (২৮) ও রোজিনা আক্তার(২৩)। তারা বর্তমানে কক্সবাজার কারাগারে রয়েছেন।
এদিকে, কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আজ সোমবার ভোর রাত ৩টার দিকে তাদেরকে হারবাং এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়।
চকরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হাবিবুর রহমান জানান, ‘নির্যাতনের ওই ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের ছেলে নজরুল ইসলাম (১৯), ইমরান হোসেনের ছেলে জসিম উদ্দিন (৩০) ও জিয়াবুল হকের ছেলে নাছির উদ্দিন (২৮) কে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।’
চকরিয়া সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইলিয়াছ আরিফ জানান, ‘চকরিয়া সিনিয়র জড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নির্যাতিত মা-মেয়েসহ কারান্তরীণ ৫ জনের জামিন আবেদন করা হয়েছিল। আবেদনের প্রেক্ষিতে চকরিয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক রাজিব কুমার দেব কারান্তরীণ পারভিন আক্তার, সেলিনা আক্তার সেলী ও রোজিনা আক্তারের জামিন মঞ্জুর করেছেন। অপর দুই পুরুষ আসামির জামিন না মঞ্জুর করেন আদালত।’
অপরদিকে, কোমরে রশি বেঁধে মা-মেয়ে নির্যাতনের ঘটনায় কক্সবাজার জেলা প্রশাসক কর্তৃক গঠিত তদন্ত দলের প্রধান কক্সবাজার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ পরিচালক শ্রাবস্তী রায় সোমবার বিকাল ৩টার দিকে হারবাং ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে তদন্ত শুরু করেছেন বলে জানা গেছে। জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন আগামী ৭ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশনা দিয়েছেন।
অভিযোগ রয়েছে, মা-মেয়েকে গত শুক্রবার বিকেলে গরু চুরির অভিযোগ এনে হারবাংয়ে অতি উৎসাহী কিছু ব্যক্তি কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতন করে। ওই সময় মা-মেয়েসহ ৫ জনকে নির্যাতন শেষে পুলিশে সোপর্দ করা হয়। পরে গরুর মালিক দাবিদার উত্তর হারবাং বিন্দারবানখীল এলাকার মাহবুবুল হকের দায়ের করা মামলায় পুলিশ তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে কোর্টে চালান দেয়।
পরে চকরিয়া জুড়িসিয়াল আদালত থেকে মা-মেয়েসহ ৫ জনকে কক্সবাজার কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার তাদের জামিন আবেদন করা হলে আদালত মা-মেয়েসহ ৩ জনের জামিন মঞ্জুর করে অপর দুইজনের জামিন না মঞ্জুর করেন।
এ ঘটনায় হারবাং ইউপি চেয়ারম্যান মিরানুল ইসলাম দাবি করেছেন, তিনি এ ঘটনার সময় চট্টগ্রামে ছিলেন। তবে তিনি মা-মেয়েকে কোমরে রশি বেঁধে নির্যাতনের ঘটনা মোবাইল ফোনে জানতে পেরে গ্রাম পুলিশ পাঠিয়ে গরু চোরে অভিযুক্তদের জনতার কবল থেকে উদ্ধার করে পুলিশের দেওয়ার জন্য সহযোগিতা করেছেন বলে জানান।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন