সিনহা হত্যা: চট্টগ্রামে লিয়াকতের বিরুদ্ধে আরেক মামলা
প্রকাশিত : ১৭:২৪, ২৬ আগস্ট ২০২০
কক্সবাজারের টেকনাফে মেরিন ড্রাইভে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশ’র পরিদর্শক লিয়াকত আলির বিরুদ্ধে চট্টগ্রামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আজ বুধবার চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবু সালেম মো. নোমানের আদালতে নালিশি অভিযোগটি (মামলা) করেন ব্যবসায়ী জসিম উদ্দীন। এতে লিয়াকতের বিরুদ্ধে ‘ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে’ অর্থ আদায়ের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলায় ভয় দেখিয়ে দুই লাখ টাকা আদায়, মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে দেওয়া, হত্যাচেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। লিয়াকত ছাড়াও ৯ পুলিশ সদস্যসহ ১২জনের বিরুদ্ধে নালিশি মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে। আদালত লিয়াকত এবং আরও ২ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। লিয়াকত ব্যতিত অন্য ৭ জন হলেন, কুমিল্লার দাউদকান্দি থানার তৎকালীন দুই এসআই নজরুল ও হান্নান, বাদীর ব্যবসায়িক প্রতিদ্বন্দ্বী এস এম সাহাবুদ্দীন, বিষ্ণুপদ পালিত, কাজল কান্তি বৈদ্য ও জিয়াউর রহমান।
অন্য যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয় তারা হলেন, ডিবি’র সে সময়ের এসআই সন্তোষ কুমার, এসআই কামরুল, সেসময়ে সদরঘাট থানার এসআই তালাত মাহমুদ, ওসি প্রণব চৌধুরী, দাউদকান্দি থানার মর্জিনা বেগম (বর্তমানে উখিয়া থানার ওসি) এবং গোয়েন্দা পুলিশের সে সময়ের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার বাবুল আক্তার।
জানা যায়, ২০১৪ সালের এক ঘটনায় মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। তৎকালীন সময়ে লিয়াকত চট্টগ্রাম পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পরিদর্শক পদে কর্মরত ছিলেন।
মামলার বাদী জসিম উদ্দীন (৫৫) নগরীর পতেঙ্গা চরপাড়া মোড় এলাকার মৃত নেকবর আলী সিকদারের ছেলে। চট্টগ্রামের সাগরিকা বিসিক এলাকায় ‘সূচনা এন্টারপ্রাইজ’ নামে তার একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।
মামলার বাদী জসিম উদ্দীনের আইনজীবী জুয়েল দাশ বলেন, ‘১৩ জনের বিরুদ্ধে নালিশি অভিযোগ করেছি। আদালত অভিযোগকারীর জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করতে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) উপ-কমিশনারকে (উত্তর) নির্দেশ দিয়েছেন।’
উল্লেখ্য, পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত কক্সবাজারের টেকনাফে তল্লাশি চৌকিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের মামলায় গ্রেফতার হয়ে এখন কারাগারে রয়েছেন।
এমএস/এসি
আরও পড়ুন