বাউফলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে অনিয়ম
প্রকাশিত : ১৪:৪০, ২৭ আগস্ট ২০২০
পটুয়াখালীর বাউফলে নিম্নমানের প্রি-কাস্ট পাইলে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মোট ৫৭টির মধ্যে এখন পর্যন্ত স্থাপন করা হয়েছে ১৭টি পাইল। উপজেলা পৌর সদরের থানা কমপ্লেক্স ভবনের সামনে খালের পাড়ে ওই ভবন নির্মাণে নিম্নমানের সামগ্রীতে তৈরি প্রি-কাস্ট পাইল স্থাপনকালে বিভিন্ন অংশের লোহার রড বেড়িয়ে যেতে দেখা যায়।
আবার ভেঙ্গে গেলেও তা অপসারণ না করেই মাটির ভেতর স্থাপন করা হয় বেশ কয়েটি পাইল। এতে ওই ভবনটি ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।
জানা গেছে, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ৩ কোটি ২৮ লাখ ৫১ হাজার ৮৩৬ টাকা ৫৫ পয়সা ব্যায়ে ৫ তলা বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। একইসঙ্গে শেষ হবে ত্রিতল পর্যন্ত নির্মাণ কাজের। চুক্তি অনুযায়ী গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর কাজ শুরু হয়ে এ বছরের ২৮ সেপ্টেম্বরের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। কিন্তু, কাজ শুরু হয় চলতি বছরের মার্চ মাসে। দায়িত্বে রয়েছে জেলা সদরের গিয়াস উদ্দিন নামের এক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার শামসুল আলম মিয়া বলেন, ‘পাইল স্থাপনে অনিয়মের বিষয়টি জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তিনি এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন বলে জানিয়েছেন।’
নির্মাণ কাজের তদারকী কর্মকর্তা ও উপ-সহকারী প্রকৌশলী আলী আব্বাস বলেন, ‘ডাবল পাইল স্থাপন করতে গিয়ে হ্যামারিংয়ের সময় ফেটে যেতে পারে। হাইড্রোলিক মেশিনে নতুনভাবে বসানোর চেষ্টা করছি।’
তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের একজন জানান, ‘অনেক ব্যায়বহুল হওয়ায় হাইড্রোলিক মেশিনে ভবনের পাইল বসানো সম্ভব নয়।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনিয়মের বিষয়টি জেনেছি। মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স নির্মাণে কোন অনিয়ম হতে দেয়া হবে না।’
এআই//এমবি
আরও পড়ুন