ঢাকা, বুধবার   ০২ এপ্রিল ২০২৫

Ekushey Television Ltd.

ভাগ্নে-ভাগ্নিকে হত্যার লোমহর্ষক স্বীকারোক্তি মামার

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৩৪, ২৭ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৬:৩৬, ২৭ আগস্ট ২০২০

Ekushey Television Ltd.

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুনের রহস্য উদ্ঘাটন করেছে পুলিশ। ভগ্নিপতির পাওনা টাকা ফেরত দেওয়ার বদলে ভাগ্নে-ভাগ্নিকে ছুরি দিয়ে গলা কেটে ও ঘাই মেরে হত্যার পর লাশ খাটের নিচে লুকিয়ে রাখে ঘাতক মামা বাদল মিয়া।  

গ্রেফতারের পর পুলিশের কাছে এমনই স্বাকারোক্তি দেন বাদল। বুধবার (২৬ আগস্ট) ঢাকার সবুজবাগ থানা এলাকা থেকে মামা বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বাঞ্ছারামপুর থানার পুলিশ। জেলা পুলিশের বিশেষ শাখার এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়।

পুলিশ জানায়, বাদল বাহরাইন থাকাকালে দোকান করার জন্য তার ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের কাছ থেকে ১৩ লাখ টাকা ধার নেন। এর মধ্যে ৩ লাখ টাকা ফেরত দেন তিনি। বাকি ১০ লাখ টাকা ফেরত না দেয়ায় কামাল উদ্দিনের সঙ্গে মনোমালিন্য চলছিল তার। সপ্তাহখানেক আগে বাদলকে এজন্য থাপ্পড়ও মারেন কামাল। সেই রাগে প্রতিশোধ নেয়ার পরিকল্পনা করেন বাদল মিয়া। 

ঘটনার দিন সোমবার (২৪ আগস্ট) ভাগ্নে কামরুল (১০) তার রুমে গেলে দরজা বন্ধ করে উচ্চশব্দে স্পিকার বাজিয়ে তার হাত-পা বেঁধে ধারালো ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে বাদল। পরে লাশ খাটের নিচে রেখে দেয়। এ সময় ভাগ্নি শিফা আক্তার (১৪) ঝাড়ু দিতে গিয়ে তা দেখে ফেললে তাকেও গলা কেটে হত্যা করে মামা বাদল মিয়া। পরে তাদের লাশ কৌশলে ঘরের খাটের নিচে রেখে দেয়। এ ঘটনার পর থেকেই বাদল পলাতক ছিলেন। 

বাদল মিয়া কুমিল্লার হোমনা উপজেলার দাউদপুর গ্রামের মৃত আবদুর রবের ছেলে। সে বাহরাইন থেকে লকডাউনের আগে দেশে ফিরে আসে। দেশে আসার পর এলাকায় গোষ্ঠীগত দাঙ্গার কারণে বাদল মিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হলে পালিয়ে থাকার জন্য গত ৩০ জুন ভগ্নিপতি কামাল হোসেনের বাড়ি বাঞ্ছারামপুরের সলিমাবাদ গ্রামে চলে আসে এবং ভগ্নিপতির বসত ঘরের একটি কক্ষে বসবাস করতে থাকেন। 

এদিকে, এই ঘটনায় নিহতদের বাবা কামাল হোসেন বাদী হয়ে বাঞ্ছারামপুর মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি বাদল মিয়াকে গ্রেফতার করে বাঞ্ছারামপুর থানা পুলিশ। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার সলিমাবাদ গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে সলিমাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র কামরুল হাসান (১০) ও বাঞ্ছারামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণির ছাত্রী শিফা আক্তারের (১৪) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এআই/এনএস/


Ekushey Television Ltd.

© ২০২৫ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি