প্রদীপসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা
প্রকাশিত : ১৭:২০, ২৭ আগস্ট ২০২০
র্যাব হেফাজতে বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ
টেকনাফ থানার বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ১২ পুলিশের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে আরো একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুর ২টায় কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে মামলাটি দায়ের করেন টেকনাফ থানাস্থ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের মৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম।
মামলার এজাহারে বলা হয়- ২০১৯ সালের ৩ ডিসেম্বর তার স্বামী আব্দুল জলিলকে কক্সবাজার শহরের আদালত পাড়া থেকে আটক করে ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া। পরে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মশিউর-এর মাধ্যমে তাঁকে টেকনাফ থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ক্রসফায়ার থেকে বাঁচাতে ওসি প্রদীপ গ্রেপ্তারকৃত আব্দুল জলিলের স্ত্রী সানোয়ারা বেগম-এর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা দাবি করেন। পরে স্বর্ণালঙ্কার বিক্রি করে সানোয়ারা বেগম স্বামীকে বাঁচাতে প্রদীপকে ৫ লাখ টাকা দেন বলে এজাহারে প্রকাশ করেন।
এক পর্যায়ে দীর্ঘ আট মাস পর চলতি বছরের ৭ জুলাই জলিল ক্রসফায়ারে নিহত হন। এ ঘটনায় স্বামী হত্যার বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হোয়াইক্যং পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মসিউরকে প্রধান আসামি করে ১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন সানোয়ারা বেগম।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন- বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, এসআই আরিফুর রহমান, সুজিত চন্দ্র দে, ডিবি পুলিশের ইন্সপেক্টর মানস বড়ুয়া, এসআই অরুণ কুমার চাকমা, এসআই নাজিম উদ্দিন, এস আই নাজিম উদ্দিন ভূঁইয়, এএসআই রাম চন্দ্র দাস, কনস্টেবল রুবেল শর্মা ও দফাদার আমিনুল হক।
মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী মনিরুল ইসলাম জানান, আদালত শুনানি শেষে আগামী ১০ সেপ্টেম্বর-এর মধ্যে উক্ত ঘটনা নিয়ে টেকনাফ থানায় কোন মামলা হয়েছে কিনা- তা আদালতকে জানানোর নির্দেশ প্রদান করেন।
এদিকে, বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ মেজর অব. সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দুই দফা মিলিয়ে ১১ দিনের রিমান্ডে র্যাবের হেফাজতে রয়েছেন।
এনএস/
আরও পড়ুন