চাঞ্চল্যকর জিসামনি মামলায় ওসি ও তদন্ত কর্মকর্তাকে আদালতে তলব
প্রকাশিত : ১৮:১২, ২৭ আগস্ট ২০২০
জিসামনি
নারায়ণগঞ্জের চাঞ্চল্যকর কিশোরী জিসামনি অপহরণ মামলায় নানা নাটকীয় ঘটনার জেরে সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান ও মামলার নতুন তদন্ত কর্মকর্তা পরিদর্শক আবদুল হাইকে আদালতে তলব করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এর বিচারক কাওছার আলম এ আদেশ দেন।
একইসঙ্গে ওই কিশোরি জীবিত থাকলেও তিন আসামি কেন ধর্ষণের পর হত্যা করে লাশ নদীতে ভাসিয়ে দেওয়ার কথা স্বীকার করে জবানবন্দী দিয়েছে- তার ব্যাখ্যা চেয়েছেন আদালত। আগামী দুই কার্য দিবসের মধ্যে মামলার এজাহার ও জবানবন্দীর নথিপত্রসহ ওসি এবং তদন্ত কর্মকর্তাকে সশরীরে উপস্থিত হয়ে এর ব্যাখ্যা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।
পাশাপাশি আগামী (৩১ আগস্ট) গ্রেফতারকৃত চার আসামির (স্বামীসহ) একত্রে জামিন ও রিমান্ড শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলেও আদেশে উল্লেখ করা হয়।
আসামিরা যদি জবানবন্দী প্রত্যাহার করে পুনঃরায় নতুন করে জবানবন্দী দিতে চায়, সেই ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানিয়েছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার মামলাটিতে তিন আসামির জামিনের শুনানি ও কিশোরীর কথিত স্বামীর রিমান্ড শুনানির দিন ধার্য্য থাকলেও আদালত তা স্থগিত করে আগামী ৩১ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য্য করেন।
এদিকে, তিন আসামিকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করে জোরপূর্বক জবানবন্দী আদায়ের অভিযোগ তুলে ন্যায়বিচার দাবি করেছেন তাদের স্বজনরা। একইসঙ্গে এ ঘটনায় সদর থানার ওসি এবং মামলার তদন্ত কর্মকর্তার শাস্তির দাবিও করেন তারা। কথিত ধর্ষণ ও হত্যা মামলা প্রত্যাহার করে আসামিদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা আদালত প্রাঙ্গণে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে এ দাবি জানান আসামিদের স্বজনসহ শতাধিক এলাকাবাসী।
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুলাই স্কুলছাত্রী কিশোরী জিসামনি নিখোঁজ হলে এক মাস পর ৬ আগস্ট তারা বাবা অপহরণ মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিন জনকে গ্রেফতারের পর তারা কিশোরীকে ধর্ষণের পর হত্যা করে নদীতে লাশ ভাসিয়ে দেয়ার কথা স্বীকার করে গত ৯ আগস্ট আদালতে জবানবন্দী দেন। এরপর ২৩ আগস্ট কিশোরী জিসামনি জীবিত উদ্ধার হলে পুলিশের তদন্ত ও আদালতে দেওয়া আসামিদের জবানবন্দী প্রশ্নবিদ্ধ হয়। এ ঘটনায় তদন্ত কর্মকর্তাকে তদন্তের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে নেয়াসহ তাকে থানা থেকে ক্লোজ (প্রত্যাহার) করে জেলা পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়।
এনএস/
আরও পড়ুন