ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৫৯ বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন

চাঁপাইনবাবগঞ্জ, সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ২৩:৩১, ২৭ আগস্ট ২০২০

সেবাকে আরও গতিশীল এবং জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় বিট পুলিশিং কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে। এ জন্য জেলার ৫ থানাকে ৫৯টি অঞ্চলে (বিটে) ভাগ করা হয়েছে। প্রতি বিটের নেতৃত্বে থাকবেন একজন উপপরিদর্শক (এসআই)। তার সঙ্গে একজন এএসআইসহ আরও দুজন কনস্টেবল কাজ করবেন। তারা ওই এলাকার যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করবেন। সেখানে কোনো অপরাধ ঘটলে এর তদন্ত এবং আসামি গ্রেফতারেও তারা মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ, মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিয়ে ও যৌতুকমুক্ত সমাজ এবং জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চাঁপাইনবাবগঞ্জের ৪ পৌরসভা ও ৪৫ ইউনিয়নে স্থাপন করা হয়েছে বিট পুলিশিং কার্যালয়। 

এ উপলক্ষে বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার রাণীহাটি ইউনিয়নে ফিতা কেটে বিট পুলিশিং কার্যালয়ের উদ্বোধন করেন পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব।

পরে সদর মডেল থানার আয়োজনে রাণীহাটি ইউনিয়ন পরিষদের সম্মেল কক্ষে সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিবের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সুধী সমাবেশে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক এজেডএম নূরুল হক।

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মাহাম্মদ মাহবুব আলম খান, রাণীহাটি ইউপি চেয়ারম্যান মহসিন আলী, সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন, এসআই আমির সোহেল।

পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বলেন, পুলিশ বাহিনীকে আরো বেশি জনমুখী করতে ও মানুষের দোরগোড়ায় পুলিশি সেবা পৌঁছে দিতে বিট পুলিশিং কার্যক্রম চালু করা হয়েছে। আজ থেকেই জেলার ৫ থানা এলাকায় একযোগে শুরু হচ্ছে বিট পুলিশিং কার্যক্রম। বিটে দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তারাই সেবা নিয়ে যাবেন মানুষের কাছে। তবে মামলাসহ কিছু আইনগত বিষয়ে থানায় আসতে হবে।

পুলিশ সুপার বলেন, বিট অফিসাররা তার এলাকার মানুষের সুযোগ-সুবিধা, সমস্যার সমাধান করে কাক্সিক্ষত সেবার পাশপাশি অপরাধীদের শনাক্ত করবেন। তার বিট এলাকার অপরাধীদের গতিবিধি, অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির পরিচয় শনাক্ত করাসহ বিভিন্ন অপরাধ দমনে ভূমিকা রাখবেন। মানুষের প্রতি নিষ্ঠুরতা নয়, মানবিক আচরণ করতে হবে। জনগণের কাছ থেকে অবৈধ সুবিধা নেয়া যাবে না। বিট পুলিশের সদস্যদের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি পুলিশি সেবা পেতে কোনো সমস্যা হচ্ছে কি না তাও পর্যবেক্ষণ করা হবে।

বিট পুলিশিংয়ের মূল ধারণা নিয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন সদর মডেল থানার ওসি মোজাফফর হোসেন। তিনি বলেন, এলাকার জনসংখ্যা, থানার জনবল, অপরাধের মাত্রা ও টহলসুবিধার কথা বিবেচনা করে বিট ভাগ করা হয়েছে। ব্রিটিশ আমলেও পুলিশের টহল কার্যক্রম পরিচালনার জন্য শহর এলাকাকে কয়েকটি অংশে ভাগ করা হতো। বিটের দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা এলাকার একজন হিসেবে জনগণের কাতারে অবস্থান করে সেবা প্রদান করবেন। যেকোনো প্রয়োজনে জনগণ প্রথমেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সহায়তা নেবেন। সংশ্লিষ্ট এলাকা সম্পর্কে তথ্য থাকার ফলে দ্রুত সেবা দেয়া এবং অপরাধ নিবারণে পুলিশের সক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে। পুলিশ ও জনগণের মধ্যে দূরত্ব হ্রাস পাবে। দূর হবে পুলিশভীতি।

ওসি বলেন, বিট পুলিশের সদস্যরা সংশ্লিষ্ট এলাকার মামলার তদন্ত, আসামি গ্রেফতার, পরোয়ানা তামিল, মাদক, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারসহ যাবতীয় কাজে মুখ্য ভূমিকা রাখবেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত এ পুলিশ কর্মকর্তারাই এলাকার আইন-শৃঙ্খলাসহ সার্বিক বিষয়ে খোঁজ রাখবেন ও প্রাথমিকভাবে ব্যবস্থা নেবেন।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি