ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

চুয়াডাঙ্গার মাঠে সোনালী ধানের বদলে বেগুনী রংয়ের ধান

চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:২৩, ৩০ আগস্ট ২০২০ | আপডেট: ১৮:২৪, ৩০ আগস্ট ২০২০

চুয়াডাঙ্গার মাটি ও আবহাওয়া সব শাক-সবজী ও ফল-ফসলের উপযোগী। এ মাটিতে বছরজুড়ে নানা ফল-ফসলের সমাহার। নতুন নতুন ফল ও ফসল চাষে জুড়ি নেই চুয়াডাঙ্গার চাষীদের। এবার বেগুনি রংয়ের ধানের চাষ করে সাড়া ফেলেছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দোস্ত গ্রামের কৃষক ছাদেক আলী।

দূর থেকে দেখলে মনে হবে মাঠে নতুন কোনো ফসল। না, এটি নতুন কোনো ফসল নয়। বেগুনী রংয়ের আভা ছড়িয়ে বাতাসে দোল খাচ্ছে ধানগাছ। দেখলে চোখ ও মন জুড়ায়, প্রাণ ভরে যায়। প্রতিদিনই এ ধান ক্ষেত দেখতে ভিড় করছে সব বয়সী মানুষ। এলাকার চাষীরা বলছে, এ ধানে মন কেড়েছে তাদের। ফলন ভালো হলে অন্যরাও চাষ করবে বেগুনী রংয়ের এ ধান।

স্থানীয় কৃষক আবু সালেহ জানিয়েছেন, চারপাশে সবুজের মাঝে ‘রোপা আউশ’ বেগুনি ধানের ক্ষেত সত্যি দেখার মতো। ব্যতিক্রমি এই বেগুনি ধানের চাষ করে এলাকায় চমক সৃষ্টি করেছে কৃষক সাদেক আলী।

কৃষক সাদেক আলী জানান, গত বছর ঝিনাইদহে বেগুনি রঙের ধান চাষ হচ্ছে জানতে পেরে জনৈক চাষীর মাঠে যায়। ধান চাষীর দেখা না পেয়ে তার ধান ক্ষেত থেকে একটি ধানের শীষ নিয়ে আসি। তার ধান তখনও পাকে নাই,পাকা পাকা ভাব হয়েছে। ওই শীষে ২৭টি দানা ছিল। ২৭টি দানা দিয়ে আমি একটি বীজতলা তৈরি করি। ওই বীজতলা থেকে আমি চারা রোপণ করি। তা থেকে আমি ১০ কেজি ধান পায়। সেই ধান পুনরায় বীজতলায় ফেলে চারা তৈরি করি। সেই চারা দিয়ে জ্যৈষ্ঠ মাসের শেষের দিকে ১বিঘা জমিতে ধান রোপণ করেছি। কৃষি বিভাগ চাইলে এ ধান জেলায় জেলায় ছড়িয়ে দিতে চান তিনি। 

চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক  মোঃ আলী হাসান জানালেন, এ ধানটি আসলে নিবন্ধিত কোনো জাতের নয়। এটি কৃষকদের উদ্ভাবিত। তবে এর ফলন একেবারে খারাপ নয়। আউশ ও বোরো দুটি মওসুমেই এ ধানটি চাষ করা যায়। ধান চারা অবস্থায় সবুজ আর পাকলে সোনালী রং ধারন করে। কিন্তু বেগুনী রংয়ের এ ধান পাকলেও থাকবে বেগুনি। তবে চাল হবে সাদা। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি