ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

হিলি স্থলবন্দরে চালকদের অবস্থান ধর্মঘট

হিলি প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৫৬, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০

দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে ভারত থেকে আমদানিকৃত পণ্যবাহী ট্রাক থেকে সিএন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের নামে জোরপুর্বক চাঁদা আদায় বন্ধ ও আদায়কৃত চাঁদা ফেরতের দাবীতে দুই ঘন্টা সড়কে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন ভারতীয় ট্রাক চালকরা।

বুধবার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত হিলি স্থলবন্দরের প্রধান সড়কে ট্রাক রেখে অবস্থান ধর্মঘট পালন করেন তারা। তাদের অবস্থান ধর্মঘটের কারণে সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয় ও আমদানি রফতানি শুরু হতে বিলম্ব হয়। পরে কাস্টমসের আশ্বাসে তারা পুনরায় ভারতে চলে যান। চেকপোষ্ট গেটে বাংলাহিলি কাস্টমস সিএএন্ডএফ এজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের স্থাপিত ট্রাক সিরিয়াল ও এন্ট্রি রুমে এই টাকা গ্রহন করা হয়।

ভারতীয় ট্রাক চালক সুশান্ত, রাকেশ ও মনোজ কুমার জানান, আমরা ভারত থেকে পণ্যবাহী ট্রাক নিয়ে যখনই বাংলাদেশে প্রবেশ করি। সেই প্রবেশ মুখেই সিএন্ডএফএজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের নামে  ট্রাক সিরিয়াল ও এন্ট্রি রুমে দীর্ঘদিন ধরে ভারতের হিলির স্থানীয় ট্রাক থেকে ৬০ রুপি ও বাহিরের প্রদেশের গাড়ি থেকে বিশেষ করে কাঁচামালবাহী ট্রাক থেকে ১৫০ থেকে ২শ রুপি করে অবৈধভাবে চাঁদা আদায় করা হয়। 

এর প্রতিবাদ করলে আমাদের চালকদের গাড়ি দাড় করিয়ে রাখাসহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ও ভয়ভীতি দেখানোসহ হয়রানি করা হয়। গত ২৯ আগষ্ট মিটিংয়ের পর মাঝে দুদিন এই চাঁদা আদায় বন্ধ থাকলেও আবারও তা গতকাল থেকে আদায় করা হচ্ছে। তাই চাঁদা আদায় বন্ধের দাবীতে ও পুর্বের অবৈধভাবে আদায়কৃত চাঁদার টাকা ফেরতের দাবীতে আজকে আমরা ট্রাক সিরিয়াল ও এন্ট্রি রুমের সামনে দাঁড়িয়ে অবস্থান ধর্মঘট পালন করি। আমরা সকল ভারতীয় ট্রাক পুর্বের নেওয়া টাকা ফেরত নিয়ে তারপরে ভারতে যাওয়ার সিন্ধান্ত গ্রহন করি। পরে কাস্টমস কতৃপক্ষ বিষয়টি দেখার আশ্বাস দিলে আমরা ধর্মঘট তুলে নিয়ে ভারতে চলে যায়।

এ বিষয়ে বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ডএফএজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সভাপতি কামাল হোসেন রাজের ব্যবহৃত মুঠোফোনে কল দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

বাংলাহিলি কাস্টমস সিআ্যন্ড এফএজেন্ট আ্যসোসিয়েশনের সহ-সভাপতি আব্দুল আজিজ ভারতীয় ট্রাক চালকদের অবস্থান ধর্মঘটের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, পরিচিত থাকার সুবাধে হয়তোবা ভারতীয় ট্রাকচালকরা কাওকে ১০ থেকে ২০ টাকা দিলে দিতে পারে চা খাওয়ার জন্য। সেই বিষয়টি নিয়ে এখন তারা একটা ইস্যু তৈরি করছেন। টাকা আদায়ের বিষয়ে তিনি বলেন, প্রতিটি বন্দরেই এ ধরনের টাকা এন্ট্রি ফি বাবদ আদায় হয়ে থাকে ম্যানেজমেন্টের জন্য। জেলা প্রশাসকের নির্দেশনার পর থেকে সেটাকে উঠানোও বন্ধ রয়েছে বলেও তিনি জানান।

হাকিমপুর থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন, সম্প্রতি ডিসি মহোদয় হিলি স্থলবন্দরের বিভিন্ন সংগঠনকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তারা কি করতে পারবে আর কি করতে পারবে না সেসব বিষয়ে নির্দেশনা প্রদান করেছেন। একইসাথে সরকারি নির্দেশনার বিষয়টি আমাদের পক্ষ থেকে সবাইকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, কেউ বলতে পারবে না যে আমি জানিনা। এর পরেও কেউ যদি এ ধরনের কোন অর্থ আদায় করেন সে বিষয়ে শক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি