দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় যানবাহনের দীর্ঘ সারি, ভোগান্তিতে যাত্রীরা

আজও দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে নাব্যতা সংকট ও স্রোতের তীব্রতায় ফেরি চলাচল চরম ব্যাহত হচ্ছে। শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি বন্ধ থাকায় এ রুটে যানবাহনের চাপ বেড়েছে অনেক বেশি। এতে করে দুই পাড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ফলে, চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে চালক ও যাত্রীদের।  

শুক্রবার সকালে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বর্তমানে ২১ জেলার প্রবেশদ্বার দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপের কারণে প্রতিদিনই দুর্ভোগ পোহাতে সবার। তীব্র স্রোত ও নাব্যতা সংকটের কারণে ধীর গতিতে চলছে ফেরি। এতে করে ঘাট থেকে কয়েক কিলোমিটার পর্যন্ত যানবাহনের দীর্ঘ সারি তৈরি হয়েছে। আছে পণ্যবাহী পরিবহনের চাপও। 

দৌলতদিয়া প্রান্তে ৬টি ফেরি ঘাটের মধ্যে গত বছর নদী ভাঙ্গনে ১ ও ২ নং ফেরি ঘাট নদী গর্ভে বিলীন হওয়ায় বর্তমানে ৪টি ঘাট দিয়ে যানবাহন পারাপার চলমান রয়েছে। তবে দীর্ঘ সময়ে আজও এ দুটি ফেরিঘাট সচল করতে পারেনি ঘাট কর্তৃপক্ষ। এদিকে, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পাটুরিয়া প্রান্তে নাব্যতা সংকটের কারণে ফেরিগুলো পরিপূর্ণভাবে যানবাহন লোড নিতে পারছে না। 

এছাড়া ফেরিগুলোকে অনেক দূর ঘুরে ঘাটে আসতে হচ্ছে। যেখানে আগের তুলনায় সময় লাগছে দ্বিগুণের বেশি। দুটি ড্রেজার দিয়ে সংকট দূর করার চেষ্টা হলেও সমস্যা কাটছে না।

চালকরা বলেন, ‘দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌরুটে তীব্র স্রোত ও শিমুলিয়া কাঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় দৌলতদিয়া ঘাট হয়ে পার হতে হচ্ছে। আর এতে করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ফেরি পারের অপেক্ষায় বসে থাকতে হচ্ছে। খাওয়া দাওয়াসহ নানা ধরনের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সবাইকে।’

বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট শাখার সহ-ব্যবস্থাপক মো. মাহাবুব হোসেন জানান, ‘শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি চলাচল বন্ধ থাকার কারণে দৌলতদিয়া ঘাটে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ বেড়েছে। এদিকে, দৌলতদিয়া পাটুরিয়া নৌ-রুটে স্রোতের তীব্রতা, সেই সাথে পাটুরিয়া অংশে দেখা দিয়েছে নাব্যতা সংকট। এ কারণে, ফেরি ঘাটে ভিড়তে সময় লাগছে অনেক বেশি। এই নৌরুটে বর্তমান ৮টি রোরো (বড়) এবং ৭টি ছোট ফেরি সহ মোট ১৫টি ফেরি চলাচল করছে।’

এআই//এমবি