ঢাকা, রবিবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৪

সিনহা হত্যা: ফের ৪ দিনের রিমান্ডে পুলিশের ৪ সদস্য

একুশে টেলিভিশন

প্রকাশিত : ২১:১৬, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২১:১৮, ৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান

অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান

সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার আসামি পুলিশের চার সদস্যকে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। রোববার (৬ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার কারাগার থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদেরকে র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়েছে।

রিমান্ডে নেয়া আসামিরা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম জানান, এই পুলিশ সদস্যদের অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য দ্বিতীয় দফায় ২৪ আগস্ট রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত সেদিন চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড মঞ্জুরের ১৪ দিন পর আজ চার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‌্যাব।

এর আগে পুলিশের অপর তিন সদস্য সাবেক ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এএসআই নন্দ দুলালকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের মধ্যে প্রদীপকে চার দফায় ১৫ দিন এবং লিয়াকত ও নন্দ দুলালকে তিন দফায় ১৪ দিন করে রিমান্ডে নেয়া হয়। লিয়াকত ও নন্দ দুলাল ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলেও রাজি হননি প্রদীপ। তারা সবাই এখন কারাগারে রয়েছেন। এদিকে, এপিবিএন-এর তিন সদস্যসহ এ পর্যন্ত আটজন স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

অপরদিকে সিনহা হত্যার ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি আগামীকাল (৭ সেপ্টেম্বর) মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন- কমিটির ৪ সদস্যকে মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত থাকতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে নিহত হন সিনহা মো. রাশেদ খান। এ ঘটনায় টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ ও পরিদর্শক লিয়াকতসহ নয় জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন সিনহার বোন। মামলার তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‌্যাবকে। এই ঘটনায় এই পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। সূত্র- বাসস।

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি