নওগাঁয় রেলওয়ের উচ্ছেদ অভিযান
প্রকাশিত : ১৬:৪০, ৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
রানীনগরে রেলওয়ের জমিতে থাকা অবৈধ স্থাপনা স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হয়। ছবি: একুশে টেলিভিশন
নওগাঁর রাণীনগর ও আত্রাই রেল স্টেশনের আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে উঠা বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান শুরু করেছে রেল কর্তৃপক্ষ। এই অভিযানের প্রথমদিন মঙ্গলবার (৮ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টা থেকে দুপুর পর্যন্ত রানীনগর রেল স্টেশনের পাশে নওগাঁ-নাটোর সড়কের উভয় দিকে প্রায় আড়াই শতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে।
রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল জোনের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামনের নেতৃত্বে এই উচ্ছেদ অভিযান চলে। এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রাকিবুল ইসলাম, রাণীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) তারিকুর রহমান, সান্তাহার জিআরপি থানার ওসি, রেল নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য ও রাণীনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আতাউর রহমান প্রমুখ।
স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, নওগাঁ-নাটোর মহাসড়কের পাশে রাণীনগর রেলওয়ের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নিচুঁ ডোবা ছিল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ছত্রছায়ায় উক্ত ডোবা মাটি ফেলে ভরাট করে ২৮৪টি ইটের তৈরি ভবন নির্মাণ করে দোকানপাঠ বসানো হয়।
এ ব্যাপারে রেল ওয়ের কর্মকর্তারা বার বার বাধা দিয়েও অবৈধ দখল ও স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ করতে পারেনি। ফলে গত প্রায় একমাস আগে মাইকিং করে এই অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করার নির্দেশ দিলেও প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় ব্যবসা করে আসছিল অবৈধ দখলবাজরা। এরই মধ্যে গত ১০/১২ দিন আগে লিখিত এবং আবারও মাইকিং করে স্থাপনা অপসারণ করতে বলা হলেও ভবনগুলো অপসারণ করা হয়নি।
ফলে মঙ্গলবার বেলা ১১টায় অবৈধ স্থাপনাগুলো স্কেবেটার মেশিন দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া শুরু হয়। তবে দখলবাজরা বলছেন, স্থাপনা উচ্ছেদে কয়েকশ’ পরিবার আজ পথে বসল। কিভাবে চলবেন, কিভাবে ছেলেমেয়ে নিয়ে সংসার চলবে তা নিয়ে তারা দুশ্চিন্তায়।
অভিযান পরিচালনাকারী কর্মকর্তা বাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চলের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ও ডিভিশনাল এস্টেট অফিসার মো: নুরুজ্জামন জানান, দখল এবং অবৈধ স্থাপনা নির্মাণের সময় আমরা বারবার বন্ধ করতে এবং দখল মুক্ত করতে মাইকিং করেও কোন ফল পাইনি। তাই রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখল মুক্ত করতে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, যতদিন এই অঞ্চলে রেলওয়ের জায়গা অবৈধ দখলমুক্ত না হচ্ছে ততদিন এই অভিযান অব্যাহত রাখা হবে। এরপরেও যদি কেউ অবৈধভাবে রেলওয়ের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার চেষ্টা করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এএইচ/
আরও পড়ুন