যৌতুকের জন্য নববধূকে হত্যা; স্বামী গ্রেফতার
প্রকাশিত : ১৭:১৫, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২০
ওয়াহেদ আলী
নওগাঁর মান্দায় জাকিয়া সুলতানা সুমি (১৫) নামের এক নববধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (১২ সেপ্টেম্বর) সকালে উপজেলার কাশোপাড়া ইউনিয়নের নিজ কুলিহার গ্রামে শয়ন ঘরের জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচাঁনো অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠিয়েছে থানা পুলিশ।
নিহত জাকিয়া ওই গ্রামের ওয়াহেদ আলীর (২২) স্ত্রী। এই ঘটনায় নিহতের মা আছমা খাতুন বাদী হয়ে নিহতের স্বামী ওয়াহেদ ও তার পিতা-মাতাসহ ৪ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ওয়াহেদকে গ্রেফতার করে শনিবার বিকেলে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, নিজ কুলিহার গ্রামের এমরান হোসেনের ছেলে ওয়াহেদ আলী প্রায় ৪ মাস আগে মোবাইলে প্রেমের সর্ম্পক গড়ে একই ইউনিয়নের রাঙ্গামাটি গ্রামের জাহেদুর রহমানের মেয়ে সুমিকে বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকেই ওয়াহেদ ও তার পরিবার ২ লাখ টাকা যৌতুকের দাবিতে সুমির ওপর নানাভাবে নির্যাতন করে আসছিল। এর একপর্যায গত শুক্রবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে আবারো যৌতুকের দাবিতে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বাক-বিতণ্ডা হয়। পরদিন সকালে শয়ন ঘরের জানালার গ্রীলের সঙ্গে গলায় ওড়না পেচাঁনো অবস্থায় সুমির লাশ উদ্ধার করে।
মামলার বাদী নিহতের মা আছমা খাতুন জানান, ওয়াহেদ প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৯ম শ্রেণির ছাত্রী আমার মেয়ে সুমিকে বিয়ে করে। কিন্তু বিয়ের পর থেকেই তারা পরিবারের সকলে মিলে সুমির উপর নানা অত্যাচার নির্যাতন করে আসছিল। মেয়ের সুখের চিন্তায় আমরা অনেক কিছুই মুখ বুঝে সহ্য করে আসছিলাম। শুক্রবার রাতে তারা আমার মেয়ে সুমিকে বেদম মারপিট করে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর লাশ জানালার গ্রীলের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আমাদের খবর দেয় সুমি আত্মহত্যা করেছে।
মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ তারেকুর রহমান সরকার বলেন, নিহতের শয়নকক্ষের জানালার সাথে ঝুলন্ত অবস্থায় তার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় লাশের শরীরে আঘাতের চিহ্নসহ মুখ ও গলা দিয়ে রক্ত বের হতে দেখা গেছে। এতে প্রাথমিকভাবে ধারনা তাকে শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। এই ঘটনায় নিহতের মা বাদি হয়ে ওয়াহেদসহ ৪ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেছে। পুলিশ ওয়াহেদকে গ্রেফতার করেছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
আরও পড়ুন