মসজিদে বিস্ফোরণ: গ্যাস লাইনে ৬ ছিদ্র!
প্রকাশিত : ১৩:৫৬, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত মসজিদ- সংগৃহীত
গ্যাসের লাইনে ৬টি ছিদ্র (লিকেজ) থাকায় মসজিদের ভিতরের ১৭ শতাংশ বাতাস দাহ্য মিথেন গ্যাসে পূর্ণ ছিল। এমনটি প্রমাণ পেয়েছে দমকল বাহিনী। নারায়ণগঞ্জের পশ্চিম তল্লায় বায়তুস সালাত মসজিদে বিস্ফোরণের ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে এমনটি পায় ফায়ার সার্ভিস এবং সিভিল ডিফেন্স।
এ পর্যন্ত বিস্ফোরণের ঘটনায় ৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪ সেপ্টেম্বর ঐ বিস্ফোরণে মোট ৩৭ জন গুরুতর আহত হয়েছিলেন।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. সাজ্জাদ হোসাইন বলেন, ‘গ্যাস লাইনের লিকেজের কারণে বিস্ফোরণ হয়েছে। ঐ লিকেজ দিয়ে মসজিদের ভিতরকার বাতাস ১৭ শতাংশ পূর্ণ ছিল বলে আমরা তদন্তে পেয়েছি।’ তদন্ত প্রতিবেদনটি চূড়ান্ত করে আগামী বৃহস্পতিবার জমা দেওয়া হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দমকলের পরিচালককে (অপারেশন ও মেইনটেন্যান্স) লেফটেন্যান্ট কর্ণেল জিল্লুর রহমানকে প্রধান করে ঘটনার দিনই চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্তের জন্য কমিটি তিতাস গ্যাস কর্তৃপক্ষ, মসজিদ কমিটি ও বিদুৎ বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছে।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্র বা এসির জন্য বিস্ফোরণ ঘটেনি বলে তদন্ত কমিটি প্রমাণ পেয়েছে। মিথেন গ্যাস পূর্ণ থাকায় বিদুতের গোলযোগের (শর্ট সার্কিট) কারণে এ বিস্ফোরণ ঘটেছে বলে তদন্ত কমিটি সূত্রে জানা যায়। তদন্ত কমিটি মসজিদে ভিতর ও মসজিদের দরজায় এমন কিছু প্রমাণ পেয়েছে।
লে. কর্নেল জিল্লুর জানান, তিতাসের শ্রমিকরা মসজিদ সংলগ্ন এলাকা খনন করে গ্যাসের লাইনে ৬টি ছিদ্র পায় এসব গ্যাস মসজিদের মজুদ হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘আমরা এখন পর্যন্ত বিস্ফোরণের জন্য অন্য কোন কারণ খুঁজে পাইনি।’
জানা যায়, বিস্ফোরণে ঘটনার ২০ মিনিট পর দমকল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে এবং মিথেন গ্যাসের অস্তিত্ব দেখতে পায়। তবে তিতাস গ্যাসের অবহেলার বিষয়ে মসজিদ কমিটি যে অভিযোগ করেছিল সেটা কোন প্রমাণ এ তদন্ত কমিটি পায়নি।
এমএস/এমবি
আরও পড়ুন