ব্যবসায়ীকে মারপিট ও চাঁদাবাজি, ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
প্রকাশিত : ১৮:০৮, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২০
অভিযুক্ত রাজু আহমেদ
নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরে সোহেল রানা নামে এক ব্যবসায়ীর নিকট চাদাঁবাজি ও তাকে মারপিটের ঘটনায় উপজেলা ছাত্রলীগরে সভাপতি রাজু আহমেদকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নওগাঁ জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এদিকে এই ঘটনায় থানায় মামলা হলেও গত ৭ দিনেও রাজু ও তার সঙ্গীদের গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো রাজু ও তার সঙ্গীরা মামলা তুলে নিতে সোহেল রানাকে নানাভাবে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন।
জানা গেছে- গত ৫ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএফএল ভিগো শোরুমের স্বত্তাধিকারী সোহেল রানার দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করে তুলে নিয়ে যায় উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও সঙ্গীরা। এ ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ ও নয়নসহ অজ্ঞাত আরও ৬-৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় চাঁদাবাজী ও মারধরের মামলা করেন সোহেল রানা।
এদিকে ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে তাকে ছাত্রলীগ নেতা রাজু ও তার সঙ্গীরা মারধর করার সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে।
ব্যবসায়ী সোহেল রানার দাবি, ‘চাঁদা চেয়ে না পেয়ে রাজু আহমেদ ও তার লোকজন দোকানে ঢুকে তাকে মারধর করেন এবং তার দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, বেশ কয়েকটি স্মার্ট ফোন ও একটি মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। মামলার পর ৭ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ রাজু ও তার সঙ্গীদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখনও তারা বিভিন্নভাবে আমাকে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। মামলা তুলে নিতে চাপ দিচ্ছে।’
এ বিষয়ে ছাত্রলীগ নেতা রাজুর মুঠোফোন নাম্বারে কল করলেও তাঁর ব্যবহৃত নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সাব্বির রহমান বলেন, ‘ছাত্রলীগের ওই নেতার বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার পর সংগঠন থেকে গত ১০ সেপ্টম্বর তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়। তিন দিনের মধ্যে তাকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তিনি তার জবাব দেননি।’
ছাত্রলীগ নেতা-কর্মীর কোনো ধরণের অন্যায়-অপকর্ম মেনে নেওয়া হবে না উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘ব্যবসায়ীকে মারধরের ভিডিও ছাত্রলীগকে বিব্রত করেছে। আর এ কারণেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, মামলার পর থেকেই এজাহারে অভিযুক্ত রাজু আহমেদ ও নয়ন পলাতক রয়েছেন। তাদেরকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এনএস/
আরও পড়ুন