ধর্ষণের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ করতে চাপ প্রয়োগের অভিযোগ

নড়াইল পৌরসভার রায়পুর-উজিরপুর এলাকায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে সদর হাসপাতালের দেয়া রিপোর্টকে কেন্দ্র করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন চিকিৎসকরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে নড়াইল প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. মশিউর রহমান বাবু জানান, ‘ধর্ষণের অভিযোগে গত ৩০ আগস্ট রাতে শিশুটিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হয়। এরপর হাসপাতালের নারী চিকিৎসকের নেতৃত্বে মেডিকেল বোর্ড শিশুটিকে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে। তবে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি।’

সম্প্রতি ভুক্তভোগী শিশুটির পক্ষের লোকজন মানববন্ধনে অভিযোগ করেন, টাকার বিনিময়ে মেডিকেল রিপোর্ট পরিবর্তন করা হয়েছে। এতে নড়াইল সদর হাসপাতালের চিকিৎসকদের মান-সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

চিকিৎসক মশিউর রহমান বাবু বলেন, ‘এ ধরণের মেডিকেল রিপোর্ট কারো ব্যক্তিগত ইচ্ছার প্রতিফলন নয়, একটি মেডিকেল বোর্ডের মাধ্যমে তা বাস্তবায়ন হয়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে নড়াইল শহরের রাসেল বিল্লাহ নামে এক যুবক চিকিৎসকদের নামে বিভিন্ন ধরণের অপপ্রচার চালাচ্ছেন। এছাড়া ‘নড়াইল এক্সপ্রেস ফাউন্ডেশন’ এবং ‘টিম তারুণ্য-১০০’ নামে দুটি সংগঠন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। ধর্ষণের রিপোর্ট ‘পজিটিভ’ করতে রাসেল বিল্লাহ চিকিৎসকদের বিভিন্ন সময় ভয়ভীতিও প্রদর্শন করছে।’

রাসেল বিল্লাহর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন কী-না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘এ নিয়ে চিকিৎসকদের মধ্যে আলোচনা চলছে। দ্রুতই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ 

এসময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সদর হাসপাতালের গাইনী বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সুব্রত কুমার বাগচী, প্যাথলজিক্যাল বিভাগের চিকিৎসক ডাক্তার সুজল কুমার বকশী, শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার আলিমুজ্জামান সেতু, মেডিকেল কর্মকর্তা ডাক্তার সুব্রত নাগ, ডাক্তার কেয়াসহ নার্স ও সাংবাদিকবৃন্দ।

অন্যদিকে শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়ার পর রাসেল বিল্লাহ তার ফেসবুক আইডিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অশ্লীল গালিগালাজ করেন। এ নিয়েও বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়।

জানা যায়, মোবাইল ফোনে গেমস ও ভিডিও দেখানোর প্রলোভন দেখিয়ে গত ৩০ আগস্ট দুপুরে নড়াইল পৌরসভার রায়পুর-উজিরপুর এলাকায় চার বছরের এক শিশুকে প্রতিবেশী অপু বিশ্বাস (১৪) নামে এক কিশোর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ ওঠে। তবে মেডিকেল রিপোর্টে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি। 

এআই/এনএস/