স্ত্রীসহ তিনজনকে কুপিয়ে হত্যা : আরও একজনের মৃত্যু
প্রকাশিত : ১৩:১৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০

নরসিংদীর শিবপুরে পারিবারিক কলহের জের ধরে কাঠমিস্ত্রী কর্তৃক স্ত্রীসহ বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আহত বাড়ি ওয়ালার মেয়ে কুলসুম বেগম (২৩) মারা গেছেন।
আজ বুধবার সকালে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এ নিয়ে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় চারজনের মৃত্যু হলো।
নিহত কুলসুম বেগমের স্বামী জিয়াউর রহমান তারেক ও শিবপুর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
নিহতের স্বজনরা জানান, ঢাকা মেডিকেলে তিনদিন চিকিৎসাধীন থাকার পর বুধবার ভোরে কুলসুম বেগমের মৃত্যু হয়। কুলসুম চার বছর বয়সী এক সন্তানের জননী। মনোহরদীর বগাদী গ্রামের স্বামীর বাড়ি থেকে কুমরাদী গ্রামে তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিলেন তিনি।
গত রোববার (১৩ সেপ্টেম্বর) ভোরে পারিবারিক কলহের জের ধরে শিবপুর উপজেলার কুমরাদী গ্রামের ভাড়াটিয়া কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়া তার স্ত্রী নাজমা বেগমকে (৪০) কুপিয়ে আহত করে। এ সময় তাকে বাঁধা দিতে গেলে তার এক সন্তানসহ বাড়ির মালিক তাজুল ইসলাম (৫৫), তার স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৪৫) ও তাদের মেয়ে কুলসুমকে ছুরিকাঘাতে আহত করে। গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তার স্ত্রী ও বাড়িওয়ালা দম্পত্তিকে মৃত ঘোষণা করেন।
একইসঙ্গে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয় আহত কুলসুম বেগমকে। এ ঘটনায় কাঠমিস্ত্রি বাদল মিয়াকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে আশেপাশের লোকজন।
ঘটনার দিন রাতেই অভিযুক্ত বাদল মিয়াকে আসামি করে শিবপুর মডেল থানায় মামলা করেছেন নিহত বাড়িওয়ালা তাজুল ইসলামের ছেলে শাহিন মিয়া। বর্তমানে পুলিশী হেফাজতে নরসিংদী সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অভিযুক্ত বাদল মিয়া। সুস্থ হওয়ার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন