নওগাঁয় ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাদাঁবাজির ঘটনায় গ্রেফতার ৩
প্রকাশিত : ১৬:২৭, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২০
নওগাঁর মহাদেবপুরে বহুল আলোচিত ব্যবসায়ীকে মারধর ও চাদাঁবাজির ঘটনায় অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ ও তার দুই সহযোগীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার একটি এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
আজ বুধবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেন জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাকিবুল আক্তার। বর্তমানে তাদের নওগাঁ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে রেখে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চলছে বলে পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছেন। তবে তদন্তের স্বার্থে রাজুর দুই সহযোগীর পরিচয় এই মূহুর্তে বলা সম্ভব নয় বলে জানান ওই পুলিশ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, গত ৫ সেপ্টেম্বর নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলা সদরের বাসস্ট্যান্ড এলাকায় আরএফএল ভিগো শো-রুমের স্বত্ত্বাধিকারী সোহেল রানার দোকানে একটি মোবাইল ফোনের মালিকানার জের ধরে রাজু ও তার সহযোগীরা শো-রুমে প্রবেশ করে ওই ব্যবসায়ীকে মারধর করে ও তাকে তুলে নিয়ে যায়। এ সময় তার কাছ থেকে চাঁদা দাবি করে তারা।
ব্যবসায়ী সোহেল রানার অভিযোগ, তারা মারধর করে দোকানের ক্যাশবাক্স থেকে নগদ দেড় লাখ টাকা, বেশ কয়েকটি স্মার্ট ফোন ও একটি মোটরসাইকেল নিয়ে যায়। এই ঘটনায় গত ৭ সেপ্টেম্বর ছাত্রলীগ নেতা রাজু আহমেদ ও নয়নসহ অজ্ঞাত আরও ৬/৭ জনের বিরুদ্ধে মহাদেবপুর থানায় চাঁদাবাজি ও মারধরের মামলা করেন সোহেল রানা।
এই ঘটনার পর থেকে রাজু তার সহযোগীরা পলাতক ছিল। রাজু আহমেদ উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের চকহরিবল্লভ আবাসন গুচ্ছ গ্রামের জিল্লুর রহমানের ছেলে বলে জানা গেছে।
এদিকে ব্যবসায়ী সোহেলের দোকানের সিসি ক্যামেরায় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজে ছাত্রলীগ নেতা রাজু ও তার সঙ্গীরা মারধর করছে সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ঘটনায় গত ১৩ সেপ্টেম্বর কারণ দর্শানো নোটিশের জবাবে মেয়াদ শেষে রাজু আহমেদকে ছাত্রলীগ থেকে বহিষ্কার করে জেলা ছাত্রলীগ।
এদিকে ছাত্রলীগের সভাপতি রাজু আহমেদ উত্থাপিত অভিযোগ বিষয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ঘটনায় রাজু নির্দোষ দাবি করা হয়।
এদিকে মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, ‘পুলিশের একটি বিশেষ দল ঢাকা থেকে তাদের আটক করে নওগাঁয় নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
এআই/এমবি
আরও পড়ুন