তীব্র নদী ভাঙ্গনে বিপাকে দুই জেলার মানুষ (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১২:২৬, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০
চতুর্থ দফা বন্যার পানি নামতে না নামতেই লালমনিরহাট ও জামালপুরে দেখা দিয়েছে তীব্র নদী ভাঙ্গন। তিস্তা, যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের করাল গ্রাসে দিশেহারা নদীপাড়ের বাসিন্দারা। প্রতিদিনই ভাঙ্গনে নদীগর্ভে বিলীন হচ্ছে ঘরবাড়ি ও আবাদি জমি। সবকিছু হারিয়ে অনেকে হয়ে পড়েছেন নিঃস্ব।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, উত্তরের জেলা লালমনিরহাটের তিস্তাপাড়ের গোকুন্ডা, রাজপুর, খুনিয়াগাছ, মহিষখোঁচা, ভোটমারী, গড্ডিমারী, ডাউয়াবাড়ী ও দহগ্রাম ইউনিয়নের প্রায় ৩০ গ্রামে দেখা দিয়েছে তীব্র ভাঙ্গন। গত এক সপ্তাহের ভাঙ্গনে এসব গ্রামের দেড় হাজারের বেশি বসতভিটা ও তিন হাজার বিঘার বেশি আবাদি জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। চালচুলো হারিয়ে অনেকেই এখন নিঃস্ব, কেউ আবার বাড়িঘর সরিয়ে নিচ্ছেন অন্যত্র।
ভাঙ্গনের শিকার ভুক্তভোগীরা জানান, ‘নদীর ভাঙনে সবকিছু হারিয়েছি, থাকার মতো জায়গাও নেই। পরিবার পরিজন নিয়ে কোথায় যাবো? থাকার জায়গাটুকুও না পেয়ে রাস্তায় পড়ে আছি। সরকার যদি স্থায়ী বাঁধের ব্যবস্থা করে তাহলেই কেবল আমরা নদীর ভাঙন থেকে রক্ষা পেতে পারি।’
এদিকে যমুনা ও ব্রহ্মপুত্রের ভাঙ্গনে দিশেহারা জামালপুরের ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জের বাসিন্দারা। দুই উপজেলার তিলকপুর, কাউনেরচর, গুচ্ছগ্রাম, বেপারীপাড়া, সরকারপাড়া ও শেখপাড়ায় ব্রহ্মপুত্রের ভয়াল থাবায় বিলীন হয়েছে কয়েক হাজার একর ফসলি জমি ও বসতভিটা। ভাঙ্গনের কবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ধর্মীয় স্থাপনাও।
জেলার ভুক্তভোগীরা জানান, ‘বাড়ি, ঘর, দুয়ার সব নিয়ে যাচ্ছে নদী। ইতিমধ্যে একটি ওয়ার্ড পুরোপুরি বিলীন হয়ে গেছে, আরেকটির অধিকাংশই চলে গেছে।’
ভাঙ্গনকবলিত এলাকা পরিদর্শন করে জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু সাইদ বলেন, ‘ইতিমোধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ভাঙ্গন ঠেকাতে দুটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা প্রণয়ন হচ্ছে। এর মাধ্যমে ভাঙ্গনকবিলত এলাকার ১০ কিলোমিটারের অধিক জায়গাজুড়ে একটি স্থায়ী ব্যবস্থা হবে।
তবে ভাঙ্গনরোধে স্থায়ী ও কার্যকর উদ্যোগ দেখতে চান ভুক্তভোগীরা।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন