বাবার বিরুদ্ধে মেয়ের ধর্ষণ মামলা
প্রকাশিত : ১৯:১৬, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২০
নিজের মেয়েকে (১৬) আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার অভিযোগ উঠেছে এক বাবার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার (২২ সেপ্টেম্বর) ধর্ষক বাবা শরিফুল ইসলামের (৪০) বিরুদ্ধে বড়াইগ্রাম থানায় মামলা করেছেন নির্যাতিত ওই মেয়ে। অভিযুক্ত শরিফুল ইসলাম নাটোরের বড়াইগ্রাম উপজেলার গোয়ালফা এলাকার বশরত মন্ডলের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, রেখা বেগম ৮/১০ বছর আগে তার স্বামী শরীফুল ইসলামকে ছেড়ে তাদের সংসারে জন্ম নেয়া মেয়েকে নিয়ে সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া ইউনিয়নের পূর্ব হাগুরিয়া গ্রামে তার বাবা আনোয়ার হোসেনের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। পরে দ্বিতীয়বার বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে অন্যত্র সংসার গড়েন। মেয়ে (১৬) তার নানা আনোয়ার হোসেনের বাসাতেই থাকে। গত কোরবানির ঈদের আগে শরীফুল ইসলাম তার মেয়েকে নানার বাড়ি থেকে বড়াইগ্রামে নিজ বাড়িতে নিয়ে যান। সেখানে নিজের মেয়েকে গত দু’মাস ধরে আটকে রেখে জোরপূর্বক ধর্ষণ করতে থাকে। মেয়েটি এ ঘটনা তার দাদা বশরত আলী ও তার দাদীকে জানালেও কোন প্রতিকার পায় না। ফলে সে আরও বেশী অসহায় হয়ে পড়ে। এই সময়ে যৌন নির্যাতনের পাশাপাশি শারীরিকভাবেও নির্যাতনের শিকার হয় মেয়েটি। বাড়িতে কোন লোকজন এলে তার সাথে দেখা বা কথা বলতেও দেয়া হতো না।
নির্যাতিতা মেয়েটি জানায়, তার মা রেখা বেগম বাবা শরিফুল ইসলামকে ছেড়ে অন্যত্র বিয়ে করেছেন ১০ বছর আগে। পরে বাবাও দ্বিতীয় করেন। এবার কোরবানির ঈদের সময় ছোট (সৎ) মা তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে গেলে বাবা তাকে বাড়িতে নিয়ে যায়।
নিপীড়িত মেয়েটি বলেন, এক রাতে বাবা আমাকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করেন। এরপর বিভিন্ন সময় আরও ৭/৮ বার ধর্ষণ করেন। এরই ধারাবাহিকতায় গত সোমবার রাতে ধর্ষণের চেষ্টা করলে আমি বাধা দেই। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে আমাকে অনেক মারপিট করে এবং মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে ভয় পেয়ে আমি আজ মঙ্গলবার থানায় এসে অভিযোগ করি।
বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা দিলিপ কুমার দাস অভিযোগের সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, অভিযুক্তকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান শুরু হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন