হাতিয়ায় চরম দুর্ভোগে ৫ হাজার পরিবার
প্রকাশিত : ০৯:৫৬, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২০
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় বন্যার পানি নেমে গেলেও দুর্ভোগ কাটেনি বেশ কয়েকটি ইউনিয়নের ৫ হাজার পরিবারের। অর্থের অভাবে এখনও অনেকে ভেঙ্গে যাওয়া ঘরবাড়ি মেরামত করতে পারেননি। একদিকে করোনা, অন্যদিকে বন্যায় আয়-রোজগারহীন পারিবারগুলোর এখন বসবাস খোলা আকাশের নিচে। এমতাবস্থায় দ্রুত পুনর্বাসনের দাবি নদী পাড়ের এসব মানুষদের।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে প্রবল বন্যায় ঘরবাড়ি ভেঙ্গে গেছে। নদী ভাঙ্গনে মেঘনা নদীর গর্ভে ভিটে মাটি। ফলে দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপ, হরণী, চানন্দী, সুখচর, চরকিং, চরইশ্বর, জাহাজমারা, তমরুদ্দি ও সোনাদিয়া ইউনিয়নের ২০টি গ্রামের মানুষ এখন আশ্রয়হীন। হাতে টাকা পয়সা না থাকায় অনেকে বাড়িঘর মেরামত করতে পারছে না। কেউ কেউ ঋণ করে টাকা ধার নিয়ে বাড়ির কাজ করছে।
ভুক্তভোগী কয়েকজন জানান, বন্যায় বাড়িঘর সব ভেঙে গেছে। এখন আয় রোজগার ও টাকা-পয়সা কিছুই নেই। ফলে, পরিবার পরিজন নিয়ে বড় বিপদে পড়তে হচ্ছে আমাদের। বেঁড়িবাধ ভেঙ্গে যাওয়ার কারণে প্রবল পানির স্রোতে প্লাবিত হয়েছে এই এলাকা, দ্রুত বাঁধ নির্মাণ না হলে আবারও এই জলোচ্ছ্বাসের সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
হাতিয়া আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউস এবং সাবেক সংসদ সদস্য ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. আলী প্রাথমিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে তাদের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। একইসঙ্গে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করে দেয়ার আশ্বাস এবং বাঁধ নির্মাণের কথা জানিয়েছেন।
চরইশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহাব্বত উল্লাহ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের প্রায় ১ হাজার পরিবার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। তারা এখন খোলা আকাশের নিচে মানববেতর জীবযাপন করছেন। এমতাবস্থায় সরকারের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।’
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রেজাউল করিম জানান, ‘প্রাথমিকভাবে এই ক্ষতি সামলে ওঠার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে আমরা তাদের সহযোগিতা করেছি। যেসব রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে সেগুলো মেরামতের ব্যবস্থা নিয়েছি। এছাড়া যাদের বাড়িঘর ভেঙ্গে গেছে সরকারের মেগা প্রকল্প ‘মুজিববর্ষে থাকবে না কেউ গৃহহীন’ এই প্রকল্পের মাধ্যমে খুব দ্রুত তাদের ঘর তৈরি করে দেয়া হবে।’
নোয়াখালী জেলা শহর থেকে মেঘনা নদীর কারণে বিচ্ছিন্ন এই দ্বীপে বসবাস করে প্রায় ৮ লাখ মানুষ। দ্রুতই এসব আশ্রয়হীন মানুষদের সরকার পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে এমনটাই প্রত্যাশা করছেন ভুক্তভোগীরা।
এআই/এসএ/
আরও পড়ুন