ঠাকুরগাঁওয়ে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে জনজীবন বিপর্যস্ত
প্রকাশিত : ২৩:৫৫, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২০
গত ১০ দিনের অবিরাম বর্ষণে ঠাকুরগাঁওয়ের আশপাশের মানুষ ঘর থেকে বের হতে পারছেন না। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল ও দুপুরে গ্রামেগঞ্জে এমনকি শহরের পথেঘাটে জনসমাগম ছিল খুবই কম। এদিকে শহরে ডুবেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের চত্বর, ট্রেজারী অফিসে যাওয়ার জনবহুল সড়কসহ অন্যান্য সড়ক, বড়মাঠের সবজি বাজার, নিন্ম এলাকার বাড়িঘর। এছাড়া দিন-মজুরগণ কাজে যেতে না পারায় পরিবার-পরিজন নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন।ভারী বর্ষণের ফলে স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, গত তিন দিনে ১৪৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। লাগাতার বৃষ্টিতে ডুবে গেছে নিচু এলাকার আমন ধানক্ষেত, ক্ষতি হচ্ছে শীতের আগাম সবজির এবং গোড়ায় পানি জমে যাওয়ায় নরম মাটিতে দাঁড়িয়ে থাকতে না পেরে মাটিতে শুয়ে পড়ছে আখ। এতে কৃষকের ক্ষতি ছাড়াও জেলার একমাত্র ভারী শিল্প ঠাকুরগাঁও সুগার মিলের উৎপাদন বিপর্যয়ের আশংকা করা হচ্ছে।
এছাড়া অবিরাম বর্ষণে অধিকাংশ কাঁচা-পাকা সড়ক ভেঙ্গে বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও-দিনাজপুর মহাসড়কের অসংখ্য স্থানের ঢালাই উঠে গিয়ে গভীর গর্ত তৈরি হওয়ায় তা যেন মরণ ফাঁদে পরিণত পরিণত হয়েছে। এসব গর্তের কারণে এরইমাঝে বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনা ঘটেছে এবং অসংখ্য মোটরযানের যান্ত্রিক ক্ষতি হয়েছে।
অপরদিকে লাগাতার বৃষ্টির কারণে শীতের আমেজ বিরাজ করতে শুরু করেছে। ফলে অনেক আর ফ্যান চালাচ্ছেন না। বিশেষ করে শেষ রাতে শীতের আমেজ বেশি হওয়ায় কাথা-কম্বল না মুড়িয়ে ঘুমাতে পারছেন না। বয়জেষ্টরা বলছেন, গত ১০ বছরের মধ্যে বাংলা আশ্বিন মাসের এই সময় এমন বৃষ্টির দাপট দেখেননি। তাঁরা এবারের মৌসুমে এলাকায় শীতের দাপট বাড়তে পারে বলে ধারণা ব্যক্ত করেছেন।
কেআই//
আরও পড়ুন