২য় স্ত্রীর মামলায় প্রথম স্ত্রী ঘর ছাড়া
প্রকাশিত : ১৭:১৭, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২০
ঝালকাঠিতে ২৫ বছর ঘর করে স্বামী গোপন বিয়ে করে নিজেকে রক্ষায় কৌশলে ২য় স্ত্রীকে দিয়ে মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা ঠুকে প্রথম স্ত্রীকে ঘর ছাড়া করার অভিযোগ উঠেছে। মামলায় প্রথম স্ত্রীর ভাই-বোনসহ কয়েকজন শুভাকাঙ্ক্ষিকেও এ মামলায় জড়ানোর কারণে এখন তারা পালিয়ে বেড়াচ্ছে।
এ বিষয়ে গত বৃহস্পতিবার তার বড়বোন, ভগ্নিপতি, ও স্বজনদের সাথে আলাপকালে তারা এ মনগড়া ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারে প্রশাসন ও ঊর্ধ্বতন মহলের সুদৃষ্টি কামনা করেছে।
প্রথম স্ত্রী সেলিনা আক্তার লাকি ও তার স্বজনরা জানায়, শহরের পূর্বচাদকাঠি এলাকার বোরহান উদ্দিন খানের সাথে ১৯৯৫ সালে পারিবারিক ভাবে লাকি বেগমের বিয়ে হয়। দীর্ঘ ২৫ বছরে সংসারে তাদের জুবায়ের খান (২২) ও উমায়ের খান (১৬) নামে দুই পুত্র সন্তান হয়। এরমধ্যে গত প্রায় ১০ বছর ধরে স্বামী বোরহান তার অসুস্থ ছোট ভাই কাওছার উদ্দিন খানের স্ত্রী শাহানা পারভিন তনু বেগমের সাথে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টেরপেয়ে স্ত্রী লাকি তাকে অনেক বুঝানোর চেষ্টা করলেও উল্টো তার সাথে দুর্ব্যবহার করে।
গত ৫ থেকে ৬ মাস ধরে স্বামী তাবলিগের নাম করে টানা ১৫ থেকে ২০ দিন বাসার আসায় লাকি বেগমের মনে সন্দেহ হয়। সে লোকমুখে জানতে পারে স্বামী বোরহান সদর উপজেলার পোনাবালিয়ার মির্জাপুর গ্রামে জনৈক মুরগী ব্যবসায়ী নুরুজ্জামানের বোন পারভিন বেগমকে বিয়ে করে শহরের সুতালরি বাসা ভাড়া নিয়ে সংসার করছে। তবে এ বিষয় জানতে চাইলে বোরহান খান সব গুজব বলে দাবী করে। পরে তার অফিস রুম তল্লাশী করে উক্ত পারভিনকে গত ১০ জুলাই ২০ হাজার টাকা দেনমোহরে বিয়ে করার একটি কাবিননামার কাগজ পায়।
মুহূর্তে লাকি বেগমের মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লে সে দুই পুত্র ও তার ভাইকে নিয়ে গত ৩০ আগষ্ট গোপনে উক্ত বাসার কাছে যায়। সেখানে বাসার মধ্যে পারভিন বেগম, তার ভাই নুরুজ্জামান, বোরহানের ছোটভাই কাওছার ও স্ত্রী তনু বেগমকে শলাপরামর্শরত দেখে পূর্বচাদকাঠিস্থ বাসায় ফিরে এসে বাসায় স্বামী বোরহানকে দেখতে পায়। তাকে এহেন প্রতারনা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে সে তড়িঘড়ি বাসা থেকে বাইরে চলে যায়। পরবর্তীতে বোরহান তার অপকর্মের দায় এড়াতে কথিত ২য় স্ত্রীকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে ঝালকাঠি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতে পরিকল্পিত ও ভিত্তিহীন মামলা দায়ের করে হয়রানির আশ্রয় নিয়েছে।
এ ব্যাপারে বোরহান উদ্দিন খানের সাথে আলাপকালে জানায়, ২৫বছর ধরে আমি অনেক কোরবানি দিয়ে সংসার করেছি। এখন আমার বয়স হয়েছে তাই নিজেরও সেবাসশ্রুসা দরকার। তাই এক বছর পূর্বে আমি প্রথম স্ত্রীকে আইনত তালাক দিয়েছি। আমি ছেলেদের সাথে আলাপ করে সবাইকে জানিয়ে ২য় স্ত্রীকে বিয়ে করে আলাদা বসবাস করছিলাম। অথচ লাকি বেগমের ভাই তাপু সাহেব বেপরোয়া হয়ে এ ধরনের নির্যাতন চালানোর কারণে ২য় স্ত্রী বাধ্য হয়ে মামলা করেছে। এখন আইনে যা হয় সে ভাবে সুরাহা হবে।
আরকে//
আরও পড়ুন