রামুর বৌদ্ধ বিহারে হামলার ৮ বছর (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৩০, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
রামুর বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলার ৮ বছর আজ। ২০১২ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার ও বসতিতে হামলা চালায় দুষ্কৃতিকারীরা। এই হামলার আট বছরে সম্প্রীতি কিছুটা ফিরলেও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে কাটেনি ধোয়াশা।
২০১২ সালের ২৯ ও ৩০ সেপ্টেম্বর। উত্তম বড়ুয়া নামে এক বৌদ্ধ যুবকের বিরুদ্ধে পবিত্র কোরআন অবমাননার অভিযোগ তুলে রাতের অন্ধকারে রামুর ১২টি বৌদ্ধ বিহার, ৩০টি বসতঘর এবং উখিয়া-টেকনাফের ৭টি বৌদ্ধ বিহার ও ১১টি বসতঘরে হামলা ও অগ্নিসংযোগ করে দুষ্কৃতিকারীরা।
লুটপাট চালানো হয় আরও ৬টি বৌদ্ধ বিহার ও শতাধিক বসতঘরে।
এ ঘটনার পর সেই বছরের ৮ অক্টোবর রামু পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পুনঃনির্মাণ করে দেন ক্ষতিগ্রস্ত বিহার ও ঘরবাড়ি। দীর্ঘ আট বছরে সম্প্রীতি কিছুটা ফিরলেও বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে সংশয় আর ধোয়াশা কাটছে না বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের।
রামু সহিংসতার ঘটনা দীর্ঘদিনের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে যে আঘাত হেনেছিল, তা অনেকটা দূর হয়েছে। তবে বিচার প্রক্রিয়ায় হতাশ এই ধর্মীয় গুরু।
রামু কেন্দ্রীয় সীমা বিহারের আবাসিক প্রধান শীলপ্রিয় ভিক্ষু বলেন, যারা প্রকৃত দোষী তাদের অবশ্যই বিচার হওয়া দরকার।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি সুরক্ষায় সতর্ক নজর রয়েছে প্রশাসনের, জানালেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা।
রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রণয় চাকমা বলেন, স্বাভাবিকভাবে যে কোন শান্তি-শৃঙ্খলার বিঘ্ন ঘটলে আমরা উপজেলা রামু প্রশাসন সব সময় তাদের পাশে আছি।
রামু হামলার ঘটনায় ২০টি মামলা দায়ের করা হয়। এর মধ্যে বাদীর সম্মতিতে ১টি মামলা নিষ্পত্তি হয়। বাকী ১৯টি মামলার মধ্যে মাত্র ২ থেকে ৩টি মামলা আদালতে স্বাক্ষী গ্রহণ পর্যায়ে রয়েছে। তবে উপযুক্ত সাক্ষীর অভাবে বিচারকাজ বিলম্বিত হচ্ছে বলে দাবি পিপির।
কক্সবাজার জেলা জজ আদালতের পিপি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, চেষ্টা করছি ওইসব মামলার সাক্ষী এনে বিচার প্রক্রিয়া দ্রুত করার জন্য।
এ ঘটনায় এজাহারভুক্ত ৩৭৮ জনসহ অজ্ঞাত আরও ১৫ হাজার ১৮২ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় ৯৩৬ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশ।
এএইচ/এমবি
আরও পড়ুন