গীর্জায় ফাদারের বিরুদ্ধে কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ
প্রকাশিত : ২৩:৪৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ | আপডেট: ২৩:৪৪, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
রাজশাহীর তানোর উপজেলার মুন্ডুমালা মাহালীপাড়া এলাকায় ‘সাধুজন মেরী ভিয়ান্নী গীর্জায়’ আটকে রেখে তিনদিন ধরে ১৫ বছর বয়সী এক ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর (আদিবাসী) কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ওই গীর্জার ফাদার প্রদীপ গ্যাগরীর বিরুদ্ধে এ অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের কারা হয়েছে বলে তানোর থানার ওসি রাকিবুল হাসান।
তিনি জানান, কিশোরীর ভাই বাদী হয়ে অপহরণ ও ধর্ষণের অভিযোগ এনে চার্চের ফাদার প্রদীপের নামে মামলা করেছেন।
ওসি বলেন, খবর পেয়ে মঙ্গলবার বিকেলে আমি ও তানোর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুশান্ত কুমার মাহাতো গীর্জায় যায়। সেখান থেকে ওই কিশোরীকে উদ্ধার করে থানা হেফাজতে নেয়া হয়। বুধবার তার শারীরিক পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।
কিশোরীর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় বাড়ির পাশে ওই গীর্জার পাশে ঘাস কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন ওই তরুণী।অনেক খোঁজাখুঁজির পরে তাকে না পেয়ে ২৭ সেপ্টেম্বর ওই কিশোরী নিখোঁজের সাধারণ ডায়েরি করেন তার ভাই।
কিশোরীর ভাই জানান, ২৮ সেপ্টেম্বর গীর্জার ফাদারে ভবনের ছাদে কিশোরীকে দেখতে পায় স্থানীরা। ওই দিন পরিবারের লোকজন কিশোরীকে উদ্ধার করতে গেলে ফাদার বাধা দেন। এসময় স্থানীয়রা রাজশাহীর জেলা র্ধম প্রদেশের ইনচার্জকে বিষয়টি মোবাইলে বিষয়টি জানায়। তিনি সোমবারে দুপুরে রাজশাহী ধর্ম প্রদেশের তিনজন প্রতিনিধি ফাদার পাঠান। পরে তারা স্থানীয় গ্রাম্য প্রধান মাইকেল হেমরণ ও মহেষ মুরমু ও আদিবাসি নেতা কামেল মার্ডীকে নিয়ে সালিসি বৈঠক বসান। সালিসি বৈঠকে ফাদার প্রদীপকে অপসারণ করা হয় এবং কিশোরীকে ভরণ পোষনসহ যাবতীয় খরচ বহন করা হবে গীর্জার পক্ষ থেকে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
আদিবাসি পারগানা পরিষদের সভাপতি কামেল মার্ডী বলেন, কিশোরীর ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে আপস করা হয়েছে। সালিশের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কিশোরীকে গীর্জার ভেতর সিস্টারদের কাছে রাখা হয় এবং ফাদার প্রদীপকে রাজশাহী পাঠানো হয়েছে।
কেআই//
আরও পড়ুন