নবাবগঞ্জে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু
প্রকাশিত : ২০:২৯, ১ অক্টোবর ২০২০
নিহত যুবক জাকির হোসেন
ঢাকার নবাবগঞ্জে মো. জাকির হোসেন (৪০) নামে এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) ভোরে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
নিহত জাকির উপজেলার নয়নশ্রী ইউনিয়নের চর শৈল্যা গ্রামের আবুল কালামের বড় ছেলে। সে ভাড়ায় মোটর সাইকেলে যাত্রী বহনের কাজ করতো। পরিবারের অভিযোগ, জাকিরকে পরিকল্পিতভাবে ফোন করে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
নিহতের পিতা আবুল কালাম জানান, বুধবার বিকেলে খেজুরবাগের শফিকুল ফোন করে জাকিরকে ডেকে নেয়। স্থানীয় মেম্বারের কাছ থেকে খবর পেয়ে সন্ধ্যার পর খেজুরবাগ বালুর মাঠ সংলগ্ন শফিকুলের বাড়ি থেকে অজ্ঞান অবস্থায় জাকিরকে উদ্ধার করা হয়। পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য নবাবগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে দ্রুত ঢাকায় প্রেরণের নির্দেশ দেন। বৃহস্পতিবার ভোর রাতে মিটফোর্ড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জাকির মারা যায়।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ফোন করে ডেকে নিয়ে শফিকুল তার সহযোগীদের নিয়ে আমার ছেলেকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। শফিকুলের বাড়ি থেকে জাকিরকে যখন উদ্ধার করা হয়, তখন তার শরীরে বালু মাখানো ছিলো এবং মুখ দিয়ে ফেনা বের হচ্ছিল। এছাড়া শফিকুলের বোন ঘরের দরজা খুলে জাকিরের শার্ট এবং মোটর সাইকেলের চাবি দিয়েছে বলে জানান তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক বাসিন্দা জানায়, শফিকুল দীর্ঘদিন ধরে মাদক ব্যবসা ও সেবনের সঙ্গে জড়িত। থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক মামলাসহ একাধিক মারামারির মামলা রয়েছে। সে পলাতক ছিল। হঠাৎ গত মঙ্গলবার এলাকায় আসে শফিকুল। আর বুধবার বিকেলে জাকিরের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্থানীয় লোকজন ও নিহতের পরিবার সুষ্ঠু তদন্ত করে জড়িতদের শাস্তির দাবি জানান।
কতোয়ালী থানার এসআই কিরণ জানান, জাকিরের মৃত্যুটি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। নিহতের শরীরে কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তবে চিকিৎসাপত্র দেখে মনে হচ্ছে- পয়জন জনিত কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ জানতে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলেই মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
এ ব্যাপারে নবাবগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সিরাজুল ইসলাম শেখ বলেন, মিডফোর্ট হাসপাতাল থেকে আমরা মৃতের খবর পেয়েছি। মৃত্যুটি রহস্যজনক হওয়ায় ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে দোষীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
এনএস/
আরও পড়ুন