ঢাকা, বুধবার   ২০ নভেম্বর ২০২৪

অস্তিত্ব হারাচ্ছে কয়েক’শ বছরের তিন গম্বুজ মসজিদ

নাটোর প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৬:৫৬, ২ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৭:০০, ২ অক্টোবর ২০২০

নাটোরের গুরুদাসপুরে তুলশি নদীর তীরে কুসুমহাটি গ্রাম। এখানেই তিন গম্বুজ মসজিদ। মাঝের বড় গম্বুজের ব্যাসার্ধ ৩৯ ফুট ৮ ইঞ্চি। রয়েছে আড়াই ফুট উচ্চতার দুটি দরজা। ভেতরে ও বাইরে সুদৃশ্য নকশা।

জনশ্রুতি রয়েছে, সুলতান শাহ নামে এক ধনাঢ্য ব্যক্তি মসজিদটি নির্মাণ করেন। দুই থেকে তিনশ’ বা তারও বেশি সময় আগে মসজিদটি নির্মিত বলে মত বিভিন্ন জনের।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাঁচ বছর আগেও তিন গ্রামের মানুষ এই মসজিদে নামাজ আদায় করতেন। কিন্তু সংস্কারের অভাবে জীর্ণ-শীর্ণ সুদৃশ্য স্থাপনাটি বর্তমানে অস্তিত্ব হারাতে বসেছে। দূর-দূরান্ত থেকে লোকজন আসলেও রাস্তার অভাবে মসজিদে যেতে বিপাকে পড়তে হয় তাদের। এমতাবস্থায় ঐতিহ্য রক্ষার স্বার্থে স্থাপনাটি সংরক্ষণের দাবি এলাকাবাসী ও দর্শনার্থীদের। 

স্থানীয়রা জানান, ‘ছোটবেলা থেকেই আমরা মসজিদটিকে দেখে আসছি। যা পরিচিত ছিল শাহী মসজিদ নামে। ভেতরে ও বাহিরে সুন্দর সুন্দর নকশা করা ছিল, তবে বর্তমানে তা নষ্ট হয়ে গেছে। যাতায়াতের রাস্তা অচলের কারণে বর্তমানে মসজিদটি ব্যবহার করা হয়না। রাস্তার অভাবেই মূলত পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে এটি।’

সুলতান শাহর বংশধর আব্দুল মালেক বলেন, ‘আমরা চাই রাস্তাঘাট মেরামত করে মসজিদটি উন্নত করা হোক।’ মসজিদটি সংস্কারের প্রতিশ্রুতি দিয়ে গুরুদাসপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘মসজিদটিতে যাতে মানুষ নামাজ পড়তে পারে সে জন্য রাস্তাঘাটের যে সমস্যা রয়েছে তা সমাধান করা হবে।’

আর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. তমাল হোসেন বলেন, ‘পুরাতন স্থাপত্য যেগুলো রয়েছে তা চিহ্নিত করে সংরক্ষণের জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। 

এআই//আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি