এমসি কলেজে গণধর্ষণ: তারেক ও মাহফুজের ডিএনএ সংগ্রহ
প্রকাশিত : ১৬:২০, ৩ অক্টোবর ২০২০
সিলেটের এমসি কলেজের ছাত্রাবাসে গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে আরও দুইজনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১১টায় পুলিশি পাহারায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয় তারিকুল ইসলাম তারেক ও শাহ মাহবুবুর রহমান মাছুমকে।
বর্তমানে তারা পুলিশের কাছে ৫ দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। এর আগে গত বৃহস্পতিবার ধর্ষণ মামলায় প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া এবং আইনুদ্দিনের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ করা হয়।
এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে তিন আসামি শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মিসবাউর রহমান রাজন ও আইনুদ্দিন। আজ শনিবার পাঁচদিনের রিমান্ড শেষে তাদেরকে আদালতে নেয়া হলে তারা এ জবানবন্দি দেন।
এদিন দুপুর ১টায় কড়া নিরাপত্তা বেষ্টনীর মধ্যদিয়ে তাদেরকে আদালত প্রাঙ্গণে হাজির করে সিলেট মহানগর পুলিশের শাহপরান থানা পুলিশ। পরে তাদেরকে সিলেট এমএম-১ অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জিয়াদুর রহমানের আদালতে হাজির করা হয়।
পরে বেলা আড়াইটার দিকে রাজনকে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আর রনি ও আইনুদ্দিনকে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুর রহমান ও শারমিন খানম নীলার আদালতে নেয়া হয়। সেখানে পৃথকভাবেই তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
এর আগে গণধর্ষণ মামলায় এ তিন আসামিকে গত ২৯ সেপ্টেম্বর পাঁচদিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
উল্লেখ্য, গত ২৫ সেপ্টেম্বর এমসি কলেজ ক্যাম্পাসে বেড়াতে আসা গৃহবধূর স্বামীকে আটকে রেখে রাত সাড়ে ৯টার দিকে কলেজ ছাত্রাবাসে নববধূকে ধর্ষণ করে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এ ঘটনায় ৬ ছাত্রলীগ কর্মীর নামোল্লেখসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন ওই নির্যাতিতার স্বামী।
এ পর্যন্ত মামলায় এজহারনামীয় ছয়জনসহ ৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। যাদের সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত বলে জানান শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী। ওপর একজন আসামি পলাতক রয়েছেন।
এআই/এনএস/
আরও পড়ুন