ঢাকা, মঙ্গলবার   ০৫ নভেম্বর ২০২৪

তিন সন্তান নিয়ে দম্পতির মানববন্ধন

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৮:৫৭, ৪ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৯:০০, ৪ অক্টোবর ২০২০

নারায়ণগঞ্জে জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ চেয়ে স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা হিমেল, তার চাচা মজিবুর ও তাদের বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে তিন সন্তানকে নিয়ে মানববন্ধন করেছেন এক দম্পতি। রোববার (৪ অক্টোবর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক ও জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে অভিযোগ দিয়ে ওই মানববন্ধন করেন রিকশা গ্যারেজ মাহজন শফি প্রধান, তার স্ত্রী ও তিন ছেলে সন্তান। এতে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

শফি প্রধান বলেন, ফতুল্লার সস্তাপুর এলাকায় আমার গ্যারেজের সামনে রাস্তায় এক চালক রিকশা রেখে গ্যারেজে আসে। এসময় ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের চাচা মজিবুর ও তার বাহিনীর লোকজন যেতে সমস্যা হওয়ায় আমার তিনটি সন্তানের সামনে আমাকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এতে আমার ছেলেরা আমাকে রক্ষা করার চেষ্টা করে। তখন মজিবুর তার লোকজন দিয়ে আমার তিন ছেলের গলায় ছুরি ধরে রাখে। ওই সময় পার্শ্ববর্তী সজলসহ কয়েকজন এগিয়ে এসে আমাকে তাদের কাছ থেকে উদ্ধারের চেষ্টা করে। এতে সজলসহ কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি মারধর করে। এক পর্যায়ে সজলের একটি আঙ্গুল কোপ দিয়ে বিচ্ছিন্ন করে ফেলে এবং আরো একজনকে কুপিয়ে তারা চলে যায়। 

এ ঘটনায় আমার ছেলে বাদল বাদী হয়ে ফতুল্লা থানায় ছাত্রলীগ নেতা হিমেলের চাচা জুয়েল ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে হিমেল, তার চাচা মজিবুর ও জুয়েল নানাভাবে হুমকি দিতে থাকে। এক পর্যায়ে মজিবুর তার সহযোগী আনোয়ারকে দিয়ে কয়েকজনকে আমার গ্যারেজে পাঠায়। তারা এসে আবারো মারধর করে হুমকি দিয়ে যায়। মামলা না উঠালে একাধিক মামলা দিয়ে আমাদের এলাকা ছাড়া করবে বলেও হুমকি দেয়। বিষয়টি ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলামকে জানাই। এতে হিমেল ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের কর্মচারীকে দিয়ে মিথ্যা অভিযোগ এনে ফতুল্লা থানায় আমার ছেলে বাদলসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে একটি মারধরের মামলা করেছে। 

তিনি আরো বলেন, তারপরও আমার ছেলে বাদল মামলা প্রত্যাহার করেনি। এরপর বিষয়টি নিয়ে এলাকায় মিমাংসার প্রস্তাব দেয় তারা। আমি বলেছি- আমার মিমাংসার প্রয়োজন নেই। তারা শুধু দুঃখ প্রকাশ করুক এতেই মামলা তুলে নিবো। কিন্তু তারা দুঃখ প্রকাশ না করে উল্টো এক নারী দিয়ে আমার ছেলে বাদলের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা করেছে। আমরা হতদরিদ্র, আমার ক্ষমতা নেই এই মামলা চালানোর। আমি তাদের কাছে ক্ষমা চাই, আমি বিচার চাইনা। আমার ছেলেরা ফেরি করে কাপড় বিক্রি করে সংসার চালায়। আমি পরিবার নিয়ে শান্তিতে থাকতে চাই।

তিনি আরো বলেন, হিমেলের শেল্টারে তার চাচা মজিবুর ও জুয়েল এলাকায় সাধারণ মানুষদের অনেক অত্যাচার করেন। সস্তাপুরে অনেক পরিবারকে বাসা থেকে বের করে দিয়ে ঘরে তালা দিয়েছে তারা। সাইনবোর্ড লাগিয়ে বাড়ি ঘর দখল করেছে। তারা অনেক প্রভাবশালী, তাদের সঙ্গে আমাদের কোন তুলনা হয়না। আমরা খেটে খাওয়া দরিদ্র মানুষ। তাদের আক্রোশ থেকে রক্ষা পেতেই জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছি। 

এনএস/


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি