দুইশ’তেও মিলছে না ১ কেজি কাঁচামরিচ
প্রকাশিত : ১৯:৪৭, ৫ অক্টোবর ২০২০
বৃষ্টি আর বন্যার প্রভাবে ঠাকুরগাঁওয়ের কাঁচাবাজারে আবারও বেড়েছে সবজির দাম। দুইশ’ টাকাতেও মিলছে না এক কেজি কাঁচামরিচ। যে কোনো ধরনের সবজি মানভেদে কিনতে খরচ হচ্ছে ৬০ থেকে ১০০ টাকা।
আজ সোমবার ঠাকুরগাঁও সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বড় মাঠে অস্থায়ী কাঁচাবাজারে অন্যান্য দিনের তুলনায় ক্রেতার উপস্থিতি ছিল অনেকটাই কম। বৃষ্টির কারণে বাজারগুলোতে ক্রেতা নাই বললেই চলে।
বন্যায় কাঁচাসবজির আবাদ একেবারে বিনষ্ট হওয়ায় বাজারগুলোতে জেলার বাইরে থেকে আসছে সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য। যেসব সবজির দাম আকাশছোঁয়া। বেশি দামের সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কিনতে সাধারণ মানুষ হিমশিম খাচ্ছেন।
একদিকে যেমন বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস (কোভিড ১৯) এর প্রভাবে মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে আবার বন্যায় সবজিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। সব মিলিয়ে কাঁচাবাজারের লাগামহীন মূল্যে মধ্যম আর নিম্ন আয়ের মানুষের জীবন এখন বিপর্যস্ত। কাঁচা সবজি কেনা এখন দুরূহ ব্যাপার। তাই ডাল আর আলু ভর্তাই একমাত্র ভরাসা প্রত্যন্ত এলাকার খেটে খাওয়া পরিবারগুলোর।
জেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়- কাঁচামরিচ ২০০ থেকে ২৩০ টাকা, দেশি রসুন ১২০ টাকা, পেঁয়াজ ৮৫ টাকা, বরবটি ৬৫ টাকা, ঢেঁড়স ৫০ টাকা, কাঁকরোল ৭০ টাকা, ঝিঙা ৫০ টাকা, শিম ১৩০ টাকা ও মুলা ৫০ টাকা, পটল ৭০ টাকা, বেগুন ৮৫ টাকা, করলা ৬৫ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০ টাকা, কাঁচা পেঁপে ৪০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৪০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, আলু ৪০ টাকা, কচুরমুখি ৪০ টাকা, টমেটো ১২০ টাকা, পুঁইশাক ৩০ টাকা, কাঁচা কলা ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
আবার চালের দামও বেড়েছে প্রকারভেদে কেজি প্রতি তিন থেকে পাঁচ টাকা। দাম বাড়ার তালিকায় রয়েছে ভোজ্য তেলও। বেড়েছে লিটার প্রতি ৫ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে অন্যান্য মসলার দাম রয়েছে স্বাভাবিক।
ব্যবসায়ীরা বলেছেন, সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলে দাম কমতে পারে। বাজার করতে আসা আমিনুল ইসলাম নামের একজন রিকশা চালক বলেন, সারাদিন রিকশা চালিয়ে যা রোজগার হয়েছে তা বাজার করতে শেষ হয়ে গেছে। আজ কাঁচাবাজারে সবকিছুর দাম এতো বেড়েছে যে বাজার সদাই করাই যাচ্ছে না।
শুধু আমিনুল নয়, আরও অনেক স্বল্প আয়ের মানুষ আছেন যারা বাজারে গিয়ে সবজির লাগামহীন দাম শুনে বাজারের থলি খালী নিয়েই বাড়ি ফিরছেন।
সবজি বিক্রেতা খালেকুজ্জামান জানান, ঠাকুরগাঁওয়ে কিছুদিন আগে ভারীবর্ষণ হয়েছে এবং এখনো প্রায় প্রতিদিন বৃষ্টি হচ্ছে। এতে অধিকাংশ কাঁচা সবজির আবাদ নষ্ট হয়ে যাওয়ায় জেলার বাইরে থেকে সবজি আনতে হচ্ছে। ফলে দাম একটু বেশি।
এনএস/
আরও পড়ুন