চুয়াডাঙ্গায় কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা এনজিও (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৪:৫১, ৬ অক্টোবর ২০২০
চুয়াডাঙ্গায় লাখ টাকার প্রলোভন দেখিয়ে কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা মানব কল্যাণ সংস্থা নামের একটি এনজিও। জেলার জীবননগরে সদস্য সংগ্রহ করে তাদের কাছ থেকে আমানত হিসেবে প্রায় কোটি টাকা সংগ্রহ করে এনজিওটি। এরপর হঠাৎ উধাও হয়ে যায় মানব কল্যাণ সংস্থার মাঠকর্মীরা। সদস্যদের অভিযোগের পর তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
গত ৫ আগস্ট চুয়াডাঙ্গার জীবননগরের আঁশতলা পাড়ায় বাড়ি ভাড়া নেয় মানব কল্যাণ সংস্থা নামের একটি এনজিও প্রতিষ্ঠান। গৃহিণীদের ক্ষুদ্র, কুটির ও হস্তশিল্পের আওতায় লাখ টাকা ঋণের প্রলোভন দেখিয়ে গড়ে ৪০ জন নারীকে নিয়ে একটি করে সমিতি তৈরি করে সংস্থাটি। সঞ্চয় আমানত হিসেবে জনপ্রতি ৫ থেকে ১৫ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে সংগ্রহ করে মাঠকর্মীরা।
গৃহিণীরা জানান, কাঁদা-কাপড় সেলাইন করে মেয়েদেরকে বিয়ে দিতে পারবো এই আশায় সাড়ে ১০ হাজার টাকা দিয়েছিলাম।
মাত্র দুই সপ্তাহের মধ্যে উপজেলার বাঁকা, মিনাজপুর, সুটিয়াসহ বেশকিছু গ্রামে ৫০টি সমিতি তৈরি করে মানব কল্যাণ সংস্থাটি। এরপর হঠাৎ হাওয়ায় মিলিয়ে যায় এই এনজিও প্রতিষ্ঠান।
এলাকাবাসী জানান, গরীব-দুঃস্থ মানুষের কাছে যেয়ে তারা সঞ্চয় নিয়েছে। সঞ্চয়টা নিয়েছে এই বলে, যে যতো বেশি সঞ্চয় দিবে সেই সঞ্চয়ের উপরে তারা এদেরকে লোন দিবে।
টাকা দিয়েছে এমন এক গৃহিণী জানান, তিনজন মিলে ১৪ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে দিয়েছি। দেয়ার পর রাত ১০টা পর্যন্ত ওই নম্বরটা খোলা ছিল, তারপর আর ওই বিকাশ নম্বরটি খোলা পাওয়া যায়নি।
এনজিওটির অনুমোদন ছিলো না বলে জানিয়েছে স্থানীয় সমাজসেবা দপ্তর।
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, তারা খুব অল্প সময়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে এই টাকাগুলো নিয়ে দ্রুত তারা পালিয়ে গেছে।
ক্ষতিগ্রস্তদের কয়েকজন ওই এনজিওর বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ এনে থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযুক্তদের আইনের আওতায় আনার আশ্বাস দিয়েছে পুলিশ প্রশাসন।
চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম বলেন, ভুক্তভুগিরা অর্থ যাতে ফেরত পায় এ ব্যাপারে তড়িৎ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
এমন প্রতারণার দায় স্থানীয় প্রশাসন এড়াতে পারে না বলে মনে করেন এলাকাবাসী।
এএইচ/এসএ/
আরও পড়ুন