নোয়াখালীতে নারী নির্যাতন, রিমান্ডে বাদল ও সোহাগ
প্রকাশিত : ১৮:৩৭, ৬ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৮:৪১, ৬ অক্টোবর ২০২০
ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগ ও প্রধান আসামি বাদল (ডানে)।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুরে বাড়িতে ঢুকে নারীকে বিবস্ত্র করে নির্যাতনের ঘটনায় আজ মামলার প্রধান আসামি বাদলকে ৭ দিনের ও ইউপি সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন সোহাগকে ২ দিনের রিমান্ড দিয়েছে আদালত।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বেগমগঞ্জ থানার এসআই মোস্তাক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নোয়াখালী চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত বেগমগঞ্জ ৩নং আমলী আদালতের বিচারক মাসফিকুল হকের আদালতে এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই নারী বাদী হয়ে গত ৪ অক্টোবর রাতে ৯ জনের বিরুদ্ধে বেগমগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেন। এখন পর্যন্ত এ মামলায় ৬ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মামলার এজাহারে নির্যাতনের শিকার ওই নারী উল্লেখ করেন- দীর্ঘদিন পর গত ২ সেপ্টেম্বর বাপের বাড়িতে তার স্বামী তার সাথে দেখা করতে যান। রাত ৯টার দিকে শয়নকক্ষের ফ্লোরে স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে অবস্থান করছিলেন। এ সময় বাদল, রহিম, আবুল কালাম, ইস্রাফিল হোসেন, সাজু, সামছুদ্দিন সুমন, আবদুর রব, আরিফ ও রহমতউল্যাসহ অজ্ঞাত আসামিরা দরজা ভেঙ্গে ঘরে প্রবেশ করে। এরপর স্বামীকে মারধর করে পাশের কক্ষে নিয়ে আটকে রাখে। এক পর্যায়ে তারা ওই নারীকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। এতে রাজি না হলে আসামিরা তার ওপর নির্মম পাশবিক নির্যাতন চালায় এবং মুঠোফোনে ভিডিও ধারণ করে রাখে। এ সময় তার আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে আসামিরা কাউকে কিছু জানালে তাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। আসামিরা চলে যাওয়ার পর কাউকে কিছু না জানিয়ে নির্যাতিতা নারী জেলা শহর মাইজদীতে বোনের বাড়িতে আশ্রয় নেন। সেখানে থাকা অবস্থায় আসামিরা মুঠোফোনে তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে অশ্লিল ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেয়। এক পর্যায়ে গত ৪ অক্টোবর দুপুরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুঠোফোনে ধারণকৃত ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।
এনএস/
আরও পড়ুন