রোহিঙ্গা ক্যাম্পে গোলাগুলি ও নিহতের ঘটনায় আটক ১২
প্রকাশিত : ১৬:০৬, ৮ অক্টোবর ২০২০
কক্সবাজারের উখিয়া কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সপ্তাহ ধরে চলা সংঘর্ষ গোলাগুলি ও হতাহতের ঘটনায় ১২ জনকে আটক করা হয়েছে।
গতকাল বিকাল থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত কুতুপালং ১নং ক্যাম্প এবং আশ পাশের ক্যাম্পে পুলিশ ও আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ানের (এপিবিএন) সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা সকলেই কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পের রোহিঙ্গা এবং তাদের বিরুদ্ধে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে গত এক সপ্তাহ ধরে সংঘর্ষ গোলাগুলি ও খুনখারাবির সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে বলে উখিয়া থানার পরিদর্শক তদন্ত গাজী সালাউদ্দীন জানিয়েছেন।
গত ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকে কুতুপালং শরণার্থী শিবিরে রোহিঙ্গাদের দুটি সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত এক নারীসহ ৮ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে শতাধিক রোহিঙ্গা। ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে কমপক্ষে দেড় শতাধিক ঘরবাড়ি।
নিহতদের মধ্যে নুরুল হুদা নামে এক বাংলাদেশিও রয়েছে। তিনি টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের বাসিন্দা। মঙ্গলবার বিকেলে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পারিবারিক অনুষ্ঠানে গিয়ে রোহিঙ্গাদের সংঘর্ষের মাঝখানে পড়ে মারা যায় বলে জানিয়েছে নিহতের ভাই ইসমাঈল। উখিয়া থানার পুলিশ জানান ক্যাম্পে হতাহতের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫টি মামলা হয়েছে।
এদিকে কুতুপালং শরণার্থী ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের আটকের জন্য আরও অভিযান চালানো হবে জানিয়েছেন পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কক্সবাজার পুলিশ রেস্ট হাউসে গণমাধ্যমের সাথে সাথে আলাপকালে জানান, ‘কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ উপজেলায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে শান্তি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে যা করা দরকার সবই করা হবে।’
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রাখবে। এ ঘটনার যাতে পুনরাবৃত্তি না হয় সে চেষ্টা করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এআই//এমবি
আরও পড়ুন