ধানসিঁড়ি নদীর পাড়ের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ
প্রকাশিত : ১৯:৫১, ৮ অক্টোবর ২০২০
ঝালকাঠির চর ভাটারাকান্দায় কবি জীবনানন্দ দাশের স্মৃতিবিজড়িত ধানসিঁড়ি নদীর পাড়ের গাছ কেটে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে বন বিভাগ ও স্থানীয় ইইনিয়ন চেয়ারম্যান ও সদস্যের উপর। তবে বন বিভাগ ও চেয়ারম্যান বলছেন কোন দূর্নীতি ছারাই আইন অনুযায়ী গাছ কাটা হয়েছে। তবে আইনের কোন ব্যাখা দিতে পারেননি তারা।
সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের ধানসিঁড়ি নদীর ভেরিবাঁধের দুইপাশের সামাজিক বনায়ন প্রকল্পের প্রায় ৬ হাজার গাছ কেটে নেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। বেশ কিছু দিন ধরে কবি জীবনান্দদাশের ধানসিঁড়ি নদী খননের নামে নদীর দুই পাশের ৫ লক্ষাধিক টাকার সরকারি গাছ কেটে নেয়া হয়েছে। এমনকি মাটি খুঁড়ে গাছের গোড়া তুলে নিয়ে শেকড় মাটি দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়েছে।
ঝালকাঠি উপজেলা বন বিভাগ অফিস সূত্রে জানা গেছে,১-৮- ২০১২ অর্থ বছরে ঝালকাঠি সদর উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের দক্ষিন চরভাটারাকান্দা ধানসিঁড়ি নদীর বাঁধে সাড়ে ৩ কিলোমিটার ধানসিঁড়ি নদীর ভেড়িবাঁধের দু’পাশে সামাজিক বনায়ন করেন দক্ষিন চরভাটারাকান্দা বনায়ন সুবিধাভোগী সমিতি। উপজেলা বন বিভাগ সমিতির পরিচালনা কমিটির সাথে দক্ষিন চরভাটারাকান্দা বনায়নের চুক্তি সম্পাদন করেন। চুক্তি সম্পাদনের পর এর আওতায় উপজেলা বন বিভাগের অর্থায়নে সমিতির উদ্যোগে ওই ভেরিবাঁধের দুই পাশে রেইনট্রি, মেহগনি, কড়ইসহ ১০ হাজার চারা রোপণ করেন। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী ওই ভেরিবাঁেধর গাছ বিক্রির টাকা সুবিধাভোগী দ্বিতীয় পক্ষ শতকরা ৫৫ ভাগ, পাওয়ার কথা থাকলেও তা দেয়া হয়নি।
ঝালকাঠি সদর উপজেলার গাভখান ধানসিঁড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান একেএম জাকির হোসেন বলেন, ধানসিঁড়ি নদীর খননের জন্য প্রায় সাড়ে তিন কিলোমিটার এলাকার নদীর পাড়ের ৯০ ভাগই গাছ কাটতে হয়েছে। তবে গাছগুলো পরিপক্ক ছিলনা।
ঝালকাঠি ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা মোঃ জিয়াউর রহমান বাকলাই বলেন, বন বিভাগ থেকে ২০১১-১২ সালের অর্থ বছরে ৭ হাজার গাছের চারা রোপন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসকের নির্দেশেই পানি উন্নয়ন বোর্ড ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বরদের সামনেই এ গাছের ৫টি লট সংরক্ষন করেছেন।
আরকে//
আরও পড়ুন