চট্টগ্রাম বন্দরে বেহাল অবস্থায় আমদানিকৃত দাহ্য পদার্থ
প্রকাশিত : ১৬:১৯, ৯ অক্টোবর ২০২০
চট্টগ্রাম বন্দরে ২৮ বছর ধরে পড়ে আছে আমদানি করা বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ। বন্দরের সার্বিক নিরাপত্তায় এসব পণ্য দ্রুত সরিয়ে নেয়ার কথা বলছে কর্তৃপক্ষ। ঝুঁকি কমাতে রাসায়নিক পণ্য আমদানীর ক্ষেত্রে কড়কাড়িও আরোপ করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আমদানি করা রাসায়নিক ও বিভিন্ন দাহ্য পদার্থ দীর্ঘদিন ধরে পড়ে আছে চট্টগ্রাম বন্দরের বিভিন্ন শেড ও ইয়ার্ডে। এসব পণ্য দেশের প্রধান সমুদ্র বন্দরে পড়ে থাকায় ভাবিয়ে তুলেছে কর্তৃপক্ষকে।
বিপদজ্জনকভাবে দীর্ঘদিন রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ পড়ে থাকার জন্য বন্দর ব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন ফ্রেইট এন্ড ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশন এবং নাগরিক আন্দোলনের নেতারা।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ ফ্রেইট এন্ড ফরোয়ার্ড অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম সুজন বলেন, ‘কোনটি জন্য আমাদের ক্ষতি হতে পারে, কোনটি দাহ্য পদার্থ অথবা কোনটি বিস্ফোরিত হতে পারে তা চিহ্নিতে কোন এক্সপার্ট কিংবা গবেষক বন্দরে নেই।’
আর নাগরিক আন্দোলনের নেতা প্রকৌশলী দেলোয়ার মজুমদার বলেন, ‘এসব জীবনণাশমুখী জিনিসপত্র যদি বেআইনীভাবে আসে তখন সেগুলো খালাস দেয়া হয় না। আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণেই মূলত সঠিক সময়ে এগুলো সরিয়ে নিতে পারেনা কর্তৃপক্ষ।’
আর কর্তৃপক্ষ বলছে, দুর্ঘটনার আশঙ্কায় এসব রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ দ্রুত সরিয়ে নিতে উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। জানতে চাইলে চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সচিব ওমর ফারুক বলেন, ‘অখালাসকৃত পণ্যগুলো নিলাম, যেগুলো ধ্বংসযোগ্য সেসব পণ্য ধ্বংস করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে পরপর দুটি চিঠি দেওয়া হয়েছে।’
আর জয়েন্ট কমিশনার অব কাষ্টমস মোহাম্মদ মাহবুব হাসান বলছেন, ‘বন্দরের চিঠিতে যে রাসায়নিক পণ্যের কথা বলা হয়েছে সেগুলো দীর্ঘদিনের। যার সংখ্যা নিরুপণ করা কঠিন। সেগুলো দ্রুত নষ্ট করা হবে।’
ঝুঁকি কমাতে রাসায়নিক পদার্থ আমদানির ক্ষেত্রে কড়াকরি আরোপের কথা জানিয়েছেন বন্দর কর্মকর্তা। একইসঙ্গে রাসায়নিক ও দাহ্য পদার্থ আমদানি ও বাজারজাতে মনিটরিং জোরদার করার কথাও বলছেন তারা।
এআই/এমবি
আরও পড়ুন