ঢাকা, শুক্রবার   ২২ নভেম্বর ২০২৪

পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের আগে খোলা 

এলসির বিষয়ে সিন্ধান্ত আসতে পারে আজ

হিলি প্রতিনিথি 

প্রকাশিত : ১৬:৪৫, ৯ অক্টোবর ২০২০

অভ্যন্তরিন বাজারে পেঁয়াজের সংকট ও মুল্যবৃদ্ধির অজুহাত দেখিয়ে ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধ ঘোষনার পুর্বে খোলা এলসিগুলোর বিষয়ে ভারতের বাণিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয় থেকে আজ সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশী পেঁয়াজ আমদানিকারকদের জানিয়েছেন। এদিকে বন্ধের পুর্বে হিলিসহ সারাদেশের বিভিন্ন বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য খোলা এলসির পরিমান রয়েছে ১ লাখ ৩০ হাজার টন বলে ভারতীয় রফতানিকারকরা জানিয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক মোজাম হোসেন বলেন, ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন যে সম্প্রতি ভারতের আদালতে পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের বিষয়ে করা একটি রিটের ঘটনায় গত ৩০ সেপ্টেম্বর ভারতের বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের অতিরিক্ত বানিজ্য মহাপরিচালক বিজয় কুমার স্বাক্ষরিত একটি নির্দেশনা প্রদান করেন। সেই নির্দেশনায় বলা হয়েছিল গত ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রফতানি বন্ধের পুর্বে যেসমস্ত এলসি খোলা হয়েছে, তাতে কি পরিমান পেঁয়াজ আমদানির জন্য এলসি খোলা হয়েছে তার পরিমান নির্ধারন করতে ও ট্রানজিশনাল ব্যবস্থার প্রয়োজনীয়তার বিষয়ে সিন্ধান্ত নিতে রফতানিকারকদের অনুরোধ করা হয়েছে। 

একইসাথে পেঁয়াজ রফতানির জন্য সকল এলসির কপিগুলো ৭ অক্টোবরের মধ্যে ভারতের আঞ্চলিক বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়ে জমা দানের জন্য বলা হয়েছিল। সে মোতাবেক ভারতীয় রফতানিকারকরা আমদানিকারকগনের খোলা পেঁয়াজের এলসিগুলোর কপিগুলো বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়ে আঞ্চলিক শাখায় জমা দেয়। গতকাল ভারতের বানিজ্য ও শিল্প মন্ত্রনালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় থেকে সেইসব এলসির কপিগুলো কেন্দ্রিয় কার্যালয়ে জমা হয়েছে। আজকে ভারতের দিল্লিতে এসংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে সেই বৈঠকে সিন্ধান্ত গৃহিত হবে কোন কোন এলসির বিপরীতে পেঁয়াজ রফতানি করবেন ও কি পরিমান পেঁয়াজ রফতানি করবেন এবিষয়টি ভারতীয় রফতানিকারকরা আমাদের জানিয়েছেন। সিন্ধান্ত আসলে এর পর বোঝা যাবে বন্দর দিয়ে কবে নাগাদ দেশে পেঁয়াজ প্রবেশ করবে। সেইসাথে ভারত থেকে পেঁয়াজ আসা শুরু করলে দেশের বাজারে পেঁয়াজ নিয়ে যে অস্থিরতা সেটিও কমে আসবে জানান তিনি। 

প্রসঙ্গত, গত ১৪ সেপ্টেম্বর হঠাৎ করেই ভারত সরকার কোন কিছু না জানিয়ে পেঁয়াজ রফতানি পুরোপুরি বন্ধ করে দেয়। এতে করে দেশে প্রবেশের অপেক্ষায় সীমান্তের ওপারে ২৫০ পেঁয়াজবাহী ট্রাক আটকা পড়ে যায়। একইসাথে ১০ হাজার টন পেঁয়াজ আমদানির জন্য আমাদের যে এলসি দেওয়া হয়েছিল তার কার্যক্রমও বন্ধ করে দেয় ভারত। এর পাঁচদিন বন্ধের পর ১৩ সেপ্টেম্বর টেন্ডার সম্পুর্ন হওয়া ১১টি ট্রাকে ২৪৬টন পেঁয়াজ গত ১৯ সেপ্টেম্বর রফতানি করে ভারত সরকার। রফতানিকৃত পেঁয়াজের বেশিরভাগই পচা নষ্ট হওয়ায় অনেক পেঁয়াজ ফেলে দিতে হয়েছে, কিছু পেঁয়াজ বাছাই করে বিক্রি করা সম্ভব হয়েছে এতে করে আমদানিকারকদের ব্যাপকভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি