ড্রেনের অভাবে পানিবন্দী কয়েক হাজার পরিবার
প্রকাশিত : ১৪:৫৫, ১০ অক্টোবর ২০২০
ড্রেনের অভাবে প্রতিবছর বর্ষায় পানিবন্দী হয়ে পড়ে দিনাজপুর শহরের উপশহর, পুলহাট, মিস্ত্রিপাড়া ও বাহারপাড়াসহ নিম্নাঞ্চলের কয়েক হাজার পরিবার। আবর্জনা আর কচুরিপানা জমে প্রায় অকেজো পানি নিষ্কাশন ব্যবস্থা। ফলে চরম দুর্ভোগে আছেন এখানকার বাসিন্দারা। এতে করে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি। কিন্তু নির্বিকার কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, বৃষ্টি হলেই এখানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। ১৫ বছর ধরে চলছে এই দুর্ভোগ। সমাধানে নেই কোন উদ্যোগ। বাসিন্দারা বলছেন, দিনের পর দিন জলাবদ্ধতার মধ্যে চলাচল করায় পায়ে ঘা দেখা দিয়েছে। ড্রেনে আবর্জনা জমে ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ। অল্প বৃষ্টিতেই ঘরে ঢুকে পড়ছে পানি।
এলাকাবাসী বলছেন, ‘প্রত্যেকটি বছর বর্ষকাল আসলেই পানিবন্দী হয়ে থাকতে হয়। বৃষ্টি হোক আর না হোক অর্ধেক কোমর পানিতে আমাদের থাকতে হয়। প্রভাবশালীরা ড্রেনের ওপর স্থাপনা করায় পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে রয়েছে।’
ভুক্তভোগীরা বলছেন, ‘সবসময় আমাদের পানির মধ্যে ডুবে থাকতে হচ্ছে। রান্নাবান্না করতে না পারায় অধিকাংশ সময় না খেয়ে থাকতে হচ্ছে। নিজেরা অসুস্থ তো হচ্ছি, বাচ্চাদের নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছি আমরা। শহরের মেয়র বারবার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আসছেন কিন্তু কয়েক বছরেও এর সমাধান হচ্ছে না।’
জানতে চাইলে দ্রুত এই সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় জানিয়ে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আপনি আমি কখনো এর সমাধান করতে পারবো না, যতক্ষণ না সেখানে পানি নিস্কাশন ড্রেন স্থাপন হবে। শহরের এই জলাদ্ধতা আগামী ছয় মাস পর থাকবে না।’
তবে জলাবদ্ধতা নিরসনে এলাকাবাসীকে সাথে নিয়ে কাজে নেমেছেন ওয়ার্ড কাউন্সিলর। জানতে চাইলে পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ড আশরাফুল আলম রমজান বলেন, ‘মেয়রকে বারবার বলার পরও তিনি কোন পদক্ষেপ নেননি। তাই, স্থানীয়দের সাথে নিয়ে সমাধানের চেষ্টা করছি।’
এআই//এমবি
আরও পড়ুন