মাহালমের ফাঁসি
প্রকাশিত : ১৮:৫৫, ২০ অক্টোবর ২০২০
কুড়িগ্রামে পারিবারিক বিরোধ মেটাতে দুই পক্ষের সালিশ বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে আমিনুর ইসলাম (২৩) নামে এক প্রতিবেশিকে কুপিয়ে হত্যার দায়ে মাহালম মিয়াকে (৪৮) মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
দীর্ঘ এক যুগ পর মঙ্গলবার (২০ অক্টোবর) দুপুরে কুড়িগ্রাম জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মো. আব্দুল মান্নান একমাত্র আসামি মাহালমের অনুপস্থিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন- পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট এসএম আব্রাহাম লিংকন এবং আসামি পক্ষে ছিলেন- এডভোকেট এটিএম এরশাদুল হক চৌধুরী। উল্লেখ্য, এর মধ্যে মাহালম জামিনে বেরিয়ে এসে পলাতক রয়েছেন।
দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত মাহালম মিয়া নাগেশ্বরী উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের কুটি বামনডাঙ্গা গ্রামের বাসিন্দা এবং ওই গ্রামের মৃত. বাসক শেখের পুত্র এবং নিহত আমিনুর ইসলাম একই গ্রামের মনছের আলীর পুত্র।
মামলাসূত্রে জানা যায়, পারিবারিক বিরোধ মেটাতে দুই পক্ষের সালিশ বৈঠকে উত্তেজিত হয়ে মাহালম মিয়া নিজের সঙ্গে রাখা দা দিয়ে প্রতিপক্ষ আমিনুর ইসলামের মাথায় ও বাহুতে কোপ দিলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে সে। পরে গুরুতর আহত আমিনুর ইসলামকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সে।
এ ঘটনায় সালিশে বসা লোকজন মাহালমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। ঘটনাটি ঘটেছে ২০০৮ সালের ২৫ জানুয়ারি রাত ১১টার সময় সমশের আলীর উঠোনে। এসময় স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও কমিউনিটি পুলিশিং এর সহায়তায় সালিশ বৈঠকটি চলছিল।
তার স্ত্রীর সঙ্গে নিহত আমিনুর ইসলামের অবৈধ সম্পর্ক ছিল বলে অভিযোগ করেন মাহালম। মূলত এটা নিয়েই সালিশ বৈঠকটি চলছিল।
এনএস/
আরও পড়ুন