গোয়ালন্দের বিভিন্ন অংশে অভিযান: ১১ জেলের কারাদণ্ড
প্রকাশিত : ১৯:৫৬, ২৩ অক্টোবর ২০২০
মৎস্য রক্ষা ও সংরক্ষন আইন অমান্য করে ইলিশের প্রজনন মৌসুমে ২২ দিন নিষিদ্ধ সময়ে নদীতে ইলিশ শিকারের অপরাধে ১১ জেলেকে কারাদন্ড প্রদান ও ১ জেলেকে জরিমানা করে ছেড়ে দিয়েছে ভ্রাম্যমান আদালত। জেলার পদ্মা নদীর ৩টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে কালুখালীতে ৮ জেলেকে ১৫দিন গোয়ালন্দে ২ জনকে ৩ মাস ও ১ জনকে ৩ হাজার টাকা জরিমানা, সদর উপজেলায় ১ জনকে ১৫ দিন, কারাদন্ড প্রদান এবং ২টি ইঞ্জিন চালিত নৌকা জব্দকরে তা ৭৮ হাজার টাকা নিলামে বিক্রি করেছে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট।
একই সময় ১ লক্ষ ৮৭ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ মাছ জব্দ করা হয় । মাছ গুলো বিভিন্ন মাদ্রাসা,এতিম খানা ও অসহায়দের মাঝে বিতরন করা হয়েছে জব্দকৃত জাল পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে। অভিযান বাস্তবায়ন করছে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন জেলা টাস্কফোর্স কমিটির জেলা ও উপজেলা প্রশাসন ,পুলিশ প্রশাসন এবং জেলা ও উপজেলা মৎস্য দপ্তর।
গত ২৪ ঘন্টায় পদ্মা নদীর সদর উপজেলার গোদার বাজার ,জৌকুড়া ও ধাওয়াপাড়া ,কালুখালী ,ও গোয়ালন্দের পদ্মার বিভিন্ন অংশে অভিযান চালিয়ে ১২ জেলেকে আটকের পর এই রায় দেওয়া হয়। একই সাথে ১ লক্ষ ৮৭ হাজার মিটার অবৈধ কারেন্ট জাল ও ২৫ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়। গত সন্ধ্যা থেকে শুক্রবার সকাল ১১ টা পর্যন্ত অভিযান শেষে রায় প্রদান করে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট, ও কালুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, গোয়ালন্দ এসিল্যান্ড রফিকুল ইসলাম ,জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ আরিফুজ্জামান।
অভিযান পরিচালনায় অংশ নেন জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল ,সদর সিনিয় মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান ,গোয়ালন্দ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রেজাউল শরিফ , আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
ইলিশের প্রজনন সময়ে সরকারী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে পদ্মায় ইলিশ শিকারের দায়ে মৎস্য সংরক্ষন আইন ১৮৬০ এর (১৮৮) ধারায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে ১১ জেলেকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড অও ১ জেলেকে জরিমানা করা হয়। মাছ বিভিন্ন মাদ্রাসা ও এতিম খানায় বিতরন এবং জাল গুলো পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয় ।
আরকে//
আরও পড়ুন