ডুবুরি সংকটে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস (ভিডিও)
প্রকাশিত : ১৩:৪৮, ২৪ অক্টোবর ২০২০ | আপডেট: ১৩:৪৯, ২৪ অক্টোবর ২০২০
ডুবুরি সংকটে রাজশাহী অঞ্চলের ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগ। চারজন ডুবুরি দিয়ে উদ্ধারকাজ চালাতে হচ্ছে বিভাগের আট জেলায়। এছাড়াও নিজস্ব বোট, প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি ও যানবাহনের অভাব রয়েছে।
চলতি বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর পদ্মায় নৌ-ভ্রমণে গিয়ে ১৩ যাত্রী নিয়ে একটি নৌকা ডুবে যায়। এর মধ্যে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীসহ নিখোঁজ হন দুইজন। দুর্ঘটনার আটদিন পর নিখোঁজদের মৃতদেহ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করেন। এর আগে মার্চ মাসে রাজশাহীর পদ্মায় বর-কনেসহ নৌকাডুবির ঘটনায় কনেসহ নয়জনের প্রাণহানি ঘটে।
প্রতিদিন কয়েক হাজার মানুষ নৌকায় যাতায়ত করেন। নৌকা ডুবে প্রাণহানির ঘটনাও কম নয়। ভ্রমণে আসা কয়েকজন জানান, ‘লাইফ জ্যাকেটগুলো পর্যাপ্ত পরিমাণে দেয়া হয় না। আবার আমরা যারা ভ্রমণে আসছি, অনেকেই তা পড়তে চাই না। এতে করে দুর্ঘটনাগুলো ঘটছে।’
মাঝিরা জানান, ‘লাইফ জ্যাকেট রাখতে বলা হয়েছে, আমরা প্রতিটি নৌকায় রেখেছি। তবে অনেকে গায়ে দিলেও বেশিরভাগই দিতে চান না ‘
রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স বিভাগে ৪ জন ডুবরি দিয়ে গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত ৫০টির বেশি উদ্ধার কাজ পরিচালনা করেছে। আধুনিক যন্ত্রপাতির অভাবে অনেক সময় উদ্ধার কাজ শেষ না করেই ফিরতে হয় বলে জানান রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের ডুবুরি দলের লিডার মো. নুরুন্নবী।
তিনি বলেন, ‘আমাদের গাড়ির অভাব রয়েছে। পাশাপাশি চরের এক পাশ থেকে আরেক পাশে যেতে যে যানবাহন দরকার তা আমাদের নেই। ফলে জনসাধারণের জন্য ব্যবহৃত নৌকায় নির্ভর করেই আমাদের উদ্ধার কাজে যেতে হয়। আবার কখনো সেই নৌকা পাওয়া যায়, আবার কখনো না। ’
মো. নুরুন্নবী বলেন, ‘কেউ ডুবে গেলে তাকে শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় আধুনিক যন্ত্রপাতি আমরা এখনও পাইনি। ফলে নির্দিষ্ট সময়ে দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে না পারায় প্রাণহানির ঘটনা বাড়ছে।’
জানতে চাইলে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক কে এম সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রতিটি জেলায় ডুবুরি নিয়োগের জন্য অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে।’
এআই//
আরও পড়ুন