ঢাকা, সোমবার   ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

ভিডিও দেখুন

বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টরের ফসল

নেত্রকোণা প্রতিনিধি

প্রকাশিত : ১৩:৪০, ৩১ অক্টোবর ২০২০

নেত্রকোণায় বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে প্রতিবছরই নষ্ট হচ্ছে হাজার হাজার হেক্টরের ফসল। বিশেজ্ঞরা বলছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিরুপ প্রভাবে এমনটি হচ্ছে। এ থেকে রক্ষায় বনায়নের তাগিদ দিয়েছেন তারা। 

পাহাড়, নদী ও হাওরের জেলা নেত্রকোণা। এখানে বেশিরভাগ মানুষ কৃষির উপর নির্ভরশীল। প্রতিবছর নদীভাঙ্গন, পাহাড়ি ঢল, শীলাবৃষ্টিতে ক্ষতি হচ্ছে ফসলের।

বারহাট্টা উপজেলার রায়পুর গ্রামের রাবেয়া বেগম। ৮ সদস্যের পরিবার। জমি, ঘর-বাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। অন্যের জমি চাষ করে জীবন-যাপন করেন। কিন্তু গেল ৪ দফার বন্যায় সব হারিয়ে নিঃস্ব তিনি। 

রাবেয়া খাতুন জানান, বাড়ি-ঘর যা কিছু ছিল তা গাঙে ভেঙ্গে গেছে। ৮ কাটা জমিতে ৪ বার ফসল লাগিয়েছি, এখন আর লাগাতে পারছি না। আমার হাতে এখন কোন টাকা-পয়সা নেই। 

ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা জানান, ২০১৭ সাল থেকে পানির উপর পানি। একের পর এক জমি লাগাই। ৪৫ কাটা জমির মধ্যে পাঁচ-ছয় কাটা ছাড়া বাকি সবটাই পানির তলায়।

কৃষি বিশেষজ্ঞ দিলীপ সেন বলেন, বৃক্ষরোপণ ছাড়া আমাদের আঞ্চলিক ও জাতীয় সমস্যা রোধ করা সম্ভব নয়।

জলবায়ুর পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলায় সরকারের পাশাপাশি হাওরের কৃষকদের আগাম জাতের ধান বীজ সরবরাহসহ প্রশিক্ষণ দিচ্ছে বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা।

উন্নয়ন কর্মী কাজি রাবেয়া এমি বলেন, বিভিন্ন ধরনের জলবায়ু সহিষ্ণু জাতগুলো (কৃষি অধিদপ্তরের সহায়তায় উদ্ভাবন হয়েছে) তৃণমূল পর্যায়ে পপুলারাইজ করার ক্ষেত্রে আমাদের সিসিভির সদস্যদের মাধ্যমে তাদেরকে প্রশিক্ষণ করাচ্ছি।

নেত্রকোনা কৃষিখামার উপ-পরিচালক কৃষিবিদ হাবিবুর রহমান বলেন, মন্ত্রণালয়ে কিছু প্রস্তাব পাঠাবো, সেখানে আমন ও রবি ফসলের ক্ষতি কৃষকরা যাতে পোষাতে পারে সেই পরিমাণ উপকরণ ও সার দেওয়া হয় সে ব্যাপারে প্রস্তাব রাখবো।

বিভিন্ন উপজেলায় আগাম জাতের ফসল ঘরে তোলার জন্য নানা প্রণোদনামূলক পদক্ষেপ হাতে নিয়েছে প্রশাসন। 

নেত্রকোনা জেলা প্রশাসক কাজি মোঃ আঃ রহমান বলেন, ২০ হাজার হেক্টরের উপরে আবাদী জমির ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে প্রায় ৪৬ হাজার কৃষক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা সরকারকে তা জানিয়েছি। আমরা আশা করছি যে, সরকারের তরফ থেকে তাদের জন্য প্রণোদনা পাব।

জলবায়ুর পরিবর্তন মোকাবেলায় কার্যকর উদ্যোগ নেয়ার দাবি নেত্রকোণাবাসীর।


এএইচ/এসএ/
 


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি