সুনামগঞ্জে স্ত্রীকে গলা কেটে হত্যা
প্রকাশিত : ১৫:১৯, ৩১ অক্টোবর ২০২০
সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলায় পারিবারিক অস্বচ্ছলতা ও দাম্পত্য জীবনে কলহের জেরে সামিয়া বেগম নামের এক গৃহবধূকে গলা কেটে হত্যা করেছে পাষণ্ড স্বামী। আজ শনিবার ভোররাতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় স্বামী মো. জালাল উদ্দিনকে পুলিশে সোপর্দ করেছে এলাকাবাসী।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, গত মার্চ মাসে উপজেলার ভীমখালী ইউনিয়নের ক্ষেতি মামুদপুর গ্রামের প্রবাসী গোলাম জিলানীর মেয়ে সামিরা বেগমের সঙ্গে বিয়ে হয় সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার ইচ্চারচর গ্রামের আব্দুস সোবানের ছেলে জালাল উদ্দিনের। মেয়ের বাবা প্রবাসী হওয়ায় যৌতুকের জন্য প্রায়ই স্ত্রীকে মারধর করে আসত যৌতুকলোভী স্বামী। এ নিয়ে তাদের মধ্যে প্রায় সময়ই ঝগড়া লেগেই থাকত। প্রায় মাস খানেক পূর্বে স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে বাবার বাড়ি চলে যান সামিয়া।
শুক্রবার সন্ধ্যায় শ্বশুর বাড়িতে স্ত্রীকে আনতে যায় জালাল। স্ত্রীর স্বজনরা জালালের বাবা ও মা ছাড়া তাদের মেয়েকে স্বামীর হাতে তুলে দেবেন না বলে জানালে ক্ষুব্ধ হয় জালাল। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পড়লে শনিবার ভোররাতে ঘুমন্ত স্ত্রীকে দা দিয়ে গলা কেটে হত্যা করে। স্ত্রীর মাথা, পেটে ও হাতে ধারালো দায়ের কোপ রয়েছে।
ভোরে সামিয়ার ছটফটানি শুনে বাড়ির আশপাশের লোকজন দেখেন তাদের মেয়েকে হত্যা করে পালিয়ে যাচ্ছে জালাল। তারা পিছন দিক থেকে ধাওয়া করলে সে পার্শ্ববর্তী হাওরের দিকে পালানোর চেষ্টা করে। এ সময় জেলেরা তাকে আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে জালালকে থানায় নিয়ে যায় আসে পুলিশ।
নিহত সামিয়ার দুলাভাই মোহনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘বিয়ের পর থেকেই জালাল সামিয়াকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করত। তার নির্যাতন সইতে না পেরে গত মাসে বাবার বাড়ি চলে আসে সামিয়া। এখানে এসে শনিবার ভোররাতে তাকে জবাই করে হত্যা করেছে ঘাতক জালাল। আমরা তার ফাঁসি চাই।’
এ ব্যাপারে জামালগঞ্জ থানার ওসি সাইফুল আলম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘ঘাতককে আটক করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
এআই/ এসএ/
আরও পড়ুন