স্বামীর নির্যাতন সইতে না পেরে গৃহবধূর আত্মহত্যা
প্রকাশিত : ১৮:২০, ৩১ অক্টোবর ২০২০
স্বামী, ভাসুর ও জা'এর নির্যাতনে অতিষ্ঠ হয়ে বিথি রানী (২২) নামে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নওগাঁর আত্রাই উপজেলার তিলাবদুরী গ্রামের এই ঘটনায় বিথির পিতা যতন রায় বাদী হয়ে আত্রাই থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মৃত বিথি রানী ওই গ্রামের বিলাশ চন্দ্র প্রামাণিকের (৩০) স্ত্রী। পুলিশ শনিবার সকালে ওই বাড়ি থেকে লাশ উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে। একই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে নিহত বিথী রানীর জা রাখী রানী ইতিকে (৩৫) আটক করেছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আত্রাই উপজেলার তিলাবদুরী গ্রামের মৃত প্রভাষ চন্দ্র প্রামাণিকের ছেলে বিলাশ চন্দ্র প্রামাণিকের সঙ্গে চার বছর আগে রাজশাহীর সিপাইপাড়ার যতন রায়ের মেয়ে বিথির বিয়ে হয়। বিয়ের পর হতে দুশ্চরিত্র অপবাদ দিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে বিথিকে নির্যাতন করা হতো। এর মাঝে দুই বছর আগে তাদের ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। তাতেও কমে না নির্যাতন।
এ নিয়ে উভয় পরিবারের মধ্যে একাধিকবার সামাজিক ও গ্রাম্য শালিশ বৈঠকও অনুষ্ঠিত হয়। কিছুদিন শান্তি থাকলেও পুনঃরায় বিথির উপর নেমে আসে নির্মম নির্যাতন। ঘটনার দিন শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) দুপুরে শিশু কন্যার পায়ের তোরা হারানোকে কেন্দ্র করে বিথিকে শারীরিক নির্যাতন করে বাড়ী থেকে চলে যায় স্বামী বিলাশ। এক পর্যায়ে বিথি রানী নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে গ্যাসের ট্যাবলেট খেয়ে আত্মহত্যা করে।
বিথির বাবা যতর রায় অভিযোগ করে বলেন- মিথ্যা অপবাদ দিয়ে তারা আমার মেয়ের উপর যখন তখন অত্যাচর নির্যাতন করতো। বিচার শালিস করেও কোনও লাভ হয়নি। তাদের নির্যাতনের কারণেই আমার মেয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এদিকে, মৃতার শ্বশুর প্রভাষ চন্দ্র বলেন, আমাদের পরিবারের কেউ তাকে নির্যাতন করেনি। সামান্য বিষয় নিয়ে বিথি যে বিষ খাবে তা আমরা বুঝতে পারিনি।
এ বিষয়ে আত্রাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোসলেম উদ্দিন বলেন, খবর পেয়ে শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রতিবেশি এবং গ্রামের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে বাড়িতে থাকা নিহতের জা রাখী রানীকে (ইতি) আটক করা হয়েছে। আজ সকালে তাকে নওগাঁ জেল হাজতে ও বিথী রানীর লাশ ময়না তদন্তের জন্য নওগাঁ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এনএস/
আরও পড়ুন