সখের বাঁশিই কাল হলো শিশু আরিফুলের
প্রকাশিত : ১৫:০৫, ২ নভেম্বর ২০২০
নাটোরে গলায় আটকানো খেলনা বাঁশি অপসারণের সময় আরিফুল ইসলাম নামে ১০ বছরের এক শিশুর মৃত্যুর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার সকালে সদর হাসপাতালে অস্ত্রোপাচারের সময় মিশুটির মৃত্যু হয় বলে অভিযোগ নিহতের সজনদের। নিহত আরিফুল সদর উপজেলার চর তেবাড়িয়া গ্রামের দিনমজুর খোদাবক্সের ছেলে ও গুরুদাসপুরের খোলাকান্তনগর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণীর ছাত্র।
নিহতের বাবা খোদাবক্স জানান, সোমবার সকালে বাশি বাজানোর সময় তার ছেলে আরিফুল ইসলামের গলায় ঢুকে আটকে যায়। স্থানীয় চিকিৎসকের কাছে নিলে তিনি তাকে দ্রুত নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন। ছেলেকে দ্রুত নাটোর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত ডাক্তার জরুরি ওয়াডেই শিশুটির গলায় অস্ত্রোপাচার শুরু করেন। এতে শিশু আরিফের মৃত্যু হয়।
শিমু আরিফের মা আসমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ওই ডাক্তার তার ছেলেকে অপারেশন ওয়ার্ডে না নিয়ে জরুরি ওয়ার্ডেই তাদের বাহিরে বের করে দিয়ে ছেলের গলা কেটে বাঁশি বের করতে গিয়ে ছেলেকে মেরে ফেলেছে। ওই ডাক্তার একজন কসাই। তিনি ছেলের মৃত্যুর জন্য ডাক্তার কাজী মোহম্মদ আলী রাসেলেকে দায় করেন।
তবে কর্তব্যরত ডাক্তার কাজী মোহম্মদ আলী রাসেলে বলেন, শিশুটির শ্বাসনালীতে কৃত্তিম নল স্থাপনের সময় অবস্থার অবনতি হলে তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। হাসপাতালের জরুরি ওয়ার্ডে শিশুটির মৃত্যু হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
নাটোর সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, ঘটনার পর ময়না তদন্তর জন্য ৩ সদস্যের একটি মেডিকেল টিম গঠন করা হয় এবং শিশুটির পোষ্ট মর্টেম করা হয়।
হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডাঃ আনছারুল হক জানান, ঘটনা তদন্তে বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। নিহত শিশুর পরিবারের পক্ষ থেকেও থানায় অভিযোগ করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
নাটোর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জাহাঙ্গীর আলম জানান, বেলা ৩টা পর্যন্ত এ ধরনের কোন অভিযোগ পাওয়া যায়নি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এমবি//
আরও পড়ুন