ঢাকা, সোমবার   ২৫ নভেম্বর ২০২৪

সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যানের দন্ধে উত্তপ্ত সাতকানিয়া

সাতকানিয়া সংবাদদাতা

প্রকাশিত : ১৭:১৬, ২ নভেম্বর ২০২০

সাতকানিয়ায় ফুটবল খেলায় চড় থাপ্পড়ের ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ধরে রাখতে অস্ত্রের মহড়া ধাওয়া ও গুলি ছোড়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে গুলিবিদ্ধ ও ইট পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। আহতদের স্থানীয়ভাবে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হলেও গুরুতর আহত ৪ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। 

ঘটনাটি গতকাল  রোববার (১ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে আমিলাইষ কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ এলাকায়।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার আমলিাইষ ব্যাংক মাঠে প্রতিদিনের ন্যায় আমিলাইষ ফুটবল ক্লাবের (এএফসি) সদস্যরা ফুটবল খেলছিল। এ সময় দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসা সেবা বিষয়ক সম্পাদক মিনহাজ উদ্দিন ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম মাঠের বাইরে বসে খেলা দেখছিলেন। মাঠে অন্যান্য সদস্যের সাথে মিনহাজের ভাই মিজবাহ উদ্দিন ফুটবল খেলছিলেন। খেলার এক পর্যায়ে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের ছোড়া বল মিজবাহ’র গায়ে লাগলে মিনহাজ ও কামরুল মাঠের ভেতরে প্রবেশ করে ইমনকে চর থাপ্পড় দিয়ে শাঁসিয়ে দেন। বিষয়টি ওখানে শেষ হলেও পরের দিন অর্থাৎ রোববার বিকেলে মিনহাজ, রিদোয়ান ও কামরুলের নেতৃত্বে ১০/১২ জন তাদের অনুসারীদের  লাঠিসোটা নিয়ে ঘটনাস্থলে মহড়াসহ হুমকি ধমকি দিতে থাকেন। 
এই হুমকি ধমকি মারামারি পর্যায়ে পৌছালেঁ উভয় পক্ষের বেশকয়েকজন আহত হন।

আহতরা হলেন উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক পশ্চিম আমিলাইষ ১ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার আহমদ নাসিম(২৮), একই এলাকার যুবলীগ কর্মী জাহেদুল ইসলাম(২৫), স্থানীয় দোকানদার ও ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কায়সার উদ্দিন(৩০), পারভেজ উদ্দিন সুজন(২০), জলিল হোসেন (৪৫), মো. জাকারিয়া (৪৭), সিএনজি চালক শহীদুল ইসলাম(২৩) ও সিএনজি চালক শাহাদাৎ হোসেন(২২)। 

এছাড়া আমিলাইষ বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন হওয়ায় বাজারে আগত আরো ৬/৭ জন আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে তাদের নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় আহমদ নাসিম, জাহেদুল ইসলাম, কায়সার উদ্দিন ও শাহাদাৎ হোসেনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতরা অধিকাংশই মাথায়, পিঠে, মুখে, হাতে, নাকে ও গলায় গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। 

এ ব্যাপারে আহত আহমদ নাসিমসহ অন্যান্যরা মিনহাজ, রিদোয়ান ও কামরুলের নেতৃত্বে এ ঘটনা সংগঠিত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করলেও মিনহাজ এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমিলাইষ ইউপি চেয়ারম্যান এইচ এম হানিফের লাইসেন্স করা অস্ত্র থেকে কায়সার গুলি করে যা’ এলাকাবাসী স্বচক্ষে দেখেছেন এ বিষয়ে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা নেই। এগুলো সব আমার রাজনীতির জনপ্রিয়তায় ঈর্শান্বিত দেখে ষড়যন্ত্র,আমি ও চাই অপরাধীরা শাস্তি পাক।

এদিকে খালেদ মোহাম্মদ ও বলেন,কায়সার চেয়ারম্যান হানিফের লাইসেন্স করা অস্ত্রটি আনলে ও সে ফায়ার করেনি।

সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, সাবেক এবং বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যানের বিরোধের কারণে এ ঘটনা ঘটে। গত শনিবার এলাকায় হুমকি ধমকি দেয় আজ বোরবার এ অপ্রীতিকর ঘটনা সংগঠিত হয়। এতে দু’য়েকজন ছোড়া গুলিতে আহত এবং ৬/৭ জন ফুলা জখম হয়েছেন। এখনো পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ কিংবা মামলা দায়ের করেনি।

আরকে//


Ekushey Television Ltd.










© ২০২৪ সর্বস্বত্ব ® সংরক্ষিত। একুশে-টেলিভিশন | এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি